স্টাফ রিপোর্টার: সন্ধার পর আগুনের ওপর হাত রেখে শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন বাহুবলবাসী! চোখে পড়ার মত সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণের দৃশ্য এখনো পড়েনি। ফলে চরম হতাশায় ভোগছেন শীতার্ত মানুষেরা। বেশিরভাগ অসহায় মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে শীতবস্ত্রের অভাব। গ্রামাঞ্চলে সকাল আর সন্ধ্যার অতি সাধারণ দৃশ্য এটি।
কেউ খড়ের মধ্যে, কেউ শুকনা কোনো লাকড়ি বা কাগজের মধ্যে আবার কেউ কেউ কাগজের কোনো কার্টনের মধ্যে আগুন ধরিয়ে চারপাশে ৭-৮ জন মিলে আগুন পোহাতে বসে গেছেন। দাঁড়িয়ে কিংবা বসে, যে যেভাবে পারছেন আগুনের তাপ পোহাচ্ছেন। শৈত্যপ্রবাহে নাজেহাল অবস্থা সবার। হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডায় সবাই জবুথবু- শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার একই হাল। শীত থেকে বাঁচার সাধ্য কারও নেই।
অনেকের কাছে শীতের কনকনে ঠাণ্ডা পানি আর বাঘের সাক্ষাৎ একই কথা। তাই শীতের মধ্যে অনেককেই দেখা যায় একাধারে কয়েকদিন গোসল না করেই কাটিয়ে দিতে। পশু-পাখিগুলোরও শীতের সঙ্গে লড়াই করে বাঁচতে হয়। আমি গ্রামে বাস করি।
গত সোমবার সকাল ৯টার দিকে গোসল করার জন্য মাটির চুলায় একটি হাঁড়িতে পানি গরম করছিলাম। হঠাৎ দেখলাম কয়েকটি মুরগির বাচ্চা এসে আগুনের তাপ গ্রহণ করছে সানন্দে। এতে সহজেই অনুধাবন করলাম শীতের সকালে হিমেল হাওয়ার শক্তি কত তীব্র।