আকিকুর রহমান রুমনঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে দুই ভাইয়ের রাম রাজত্বে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মিশন দিয়ে বালু উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকার বিক্রি করে যাচ্ছে।
আর এতে করে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।আশপাশের ফসলি জমি গুলো নষ্ট।
এক অনুসন্ধানে দেখাযায়,হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ৬নং কাগাপাশা ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামে হারেরগজ নামের এক বিল থেকে এই বালু উত্তোলণ করে যাচ্ছে এলাকার প্রভাবশালী দুই ভাই।
আর এসব বালু তারা জেলার বিভিন্নস্থান বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা কামাই করে রাম রাজত্ব করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছে। আর এতে করে যেমন সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব।
তেমননি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আশপাশের ফসলি জমির মালিকগন।
তাদের এসব কর্মকান্ডের অভিযোগের সত্যতা যাহাই করতে সরেজমিনে গিয়ে সত্যতাও পাওয়া যায়।
তাদের বালু উত্তোলনের ব্যাপারে স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানাযায়,চান্দপুর গ্রামের মাহফুজ চৌধুরী ও তার আপন ছোট ভাই টিপু চৌধুরী মিলে বছরের পর বছর ধরে হারেরগজ বিল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছেন।
তারা এই বিল থেকে বালু উত্তোলনের জন্য রাত দিন দুটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন।
আর এসব বালু বিলের পাড়েই জমা করেন তারা। এবং এক্সভেটর দিয়ে ট্রাকে তুলে নেওয়া হয় বিভিন্ন জায়গায়।অপর দিকে বালু ভর্তি ভারী ট্রাকের আনাগোনায় নষ্ট হচ্ছে এলাকার রাস্তাঘাট।
মানুষ চলাচলের সড়কটিও ভেঙে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা গিয়েছে।এতে করে যেমন যান চলাচলে যেমন ঘটছে ব্যাঘাত তেমনি দুর্ভোগও পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে।
তাদের দুই ভাইয়ের রাম রাজত্বের কারনে এলাকার কেউ আবার ভয়ে মুখ খুলতে রাজি নন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক হারেরগজ বিলের প্রতিবেশি মোকামবাড়ির বেশ কয়েকজন যুবকরা জানান,এই বিলের চারপাশে অনেক ফসলী জমি রয়েছে।
বিল যতো খনন হচ্ছে ততই আমাদের জমি গুলো হুমকির মুখে পড়ছে এমনকি অনেক ক্ষতিও হচ্ছে।এজন্য প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসী অনেকবার মাহফুজ ও তার ভাইকে বুঝিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন।
তারা কোনোভাবেই বুঝতে রাজি নন এবং তারা তাদের বালু উত্তোলন করে যাবেন বলেই জবাব দেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে মাহফুজ চৌধুরী বলেন,প্রতি বছর ৮ লাখ টাকা সরকারের খাজনা দিয়ে আসছি বিল থেকে বালু উত্তোলন করার জন্য।
এমনকি হাইকোট থেকে নির্দেশও নিয়ে এনেছি। এখানে অবৈধ বালু উত্তোলন করার কি রয়েছে সরকার ঐ আমাকে এই সুযোগ দিয়েছেন।
এব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,গত বছরও অভিযোগ পেয়ে এই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করেছিলাম।
এবারও যদি এমনটা হয়ে থাকে এবং এই হারেরগজ বিল থেকে বালু উত্তোলন করা হয়ে থাকে তাহলে দ্রুত আমি ব্যাবস্হা গ্রহন করবো।
আমি এখন আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।