এম এ ওয়াহেদ লাখাই প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের পূর্ব বুল্লা গ্রামের শতবর্ষী রাধাচরন সরকারের সংসার চলে বাঁশ- বেতের পন্য তৈরির আয়ে। দরিদ্র রাধা চরনের সামান্য ভিটেবাড়ী ব্যতীত কোন জমিজমা নেই।
এক সময় দিনমজুর এর কাজ করে সংসার চলতো। সময় সামান্য আয়ে অভাব- অনটনে বাড়তি উপার্জন করতে বাঁশ- বেতের কাজে জড়িয়ে পড়েন তিনি। দীর্ঘ ৫২ বছর যাবত এ পেশার সংগে জড়িত।
প্রথমদিকে বাঁশের দাম কম ছিল এবং বাঁশের তৈরী পন্য খলই,কুলা,ডালাসহ অন্যান্য পন্যের চাহিদাও ছিল বেশী।সে-সময় এর আয়ে মোটামুটি ভালোই চলছিল।
দিন দিন পরিবারের লোকসংখ্যা বাড়তে থাকায় পরিবারে নেমে আসে অভাব অনটন।বর্তমানে তার ৮ সদস্যের পরিবারে স্ত্রী, ১ ছেলে এবং এক নাতি ও ৩ নাতনি এবং ছেলের বৌ।পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি রাধাচরন ও তা পুত্র চল্লিশোর্ধ্ব রায়মন সরকার।
পুত্র রায়মন সরকার পেশায় দিন মজুর।তাঁদের সীমিত আয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছে। বর্তমানে বাঁশের দাম বেশ চড়া ৩/৪ টাকায় কেনা বাঁশের তৈরি পন্য ৮-৯ শত টাকায় বিক্রি করা যায়।
এতে বাঁশসহ অন্যান্য খরচ বাদে মুনাফা তেমন হয় না।তাই সংসারে অভাব লেগেই আছে। ভিটেমাটি থাকলেও অর্থিক অনটনে মাথা গুজার ঠাঁই টুকু মেরামত করতে না পারায় জরাজীর্ণ ছোট্ট একটি ঘরে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে।
এদিকে শতবর্ষী রাধাচরন সরকার অদ্যাবধি কোন সরকারি সহায়তা বা ভাতার কোন কার্ডও ভাগ্যে জুটেনি। এমনকি কেউ খোঁজও নেয়নি।
এ বিষয়ে রাধাচরন সরকারের সাথে আলাপকালে জানান আমি স্বাধীনতার পূর্ব থেকে এ পেশায় আছি।যতদিন বেঁচে থাকি এ কাজ করে যেতে চাই।
বাঁশ এর দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে আর পোষায় না।সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার প্রণোদনা পেলে বাকি জীবন এ কাজটি চালিয়ে যেতে পারতাম।