বাহুবল প্রতিনিধি : বাহুবল উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে রাস্তা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সহকারী শিক্ষিকার পিটুনিতে দু’শিশু আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ১৫ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে।
জানা যায়, বাহুবল উপজেলার ৭নং ভাদেশ্বর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের আবুল কালাম আজাদ( প্রকাশ) মোবারক হোসেন ও আব্দুল হাই মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ একটি রাস্তা দিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। বৃহস্পতিবার তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে মোবারক হোসেনের মেয়ে যশমঙ্গল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আফিয়া খাতুন বাড়িতে গিয়ে আব্দুল হাই মিয়ার দুই মেয়ে সাদিয়া আক্তার(১১) ও তানিয়া আক্তার(১৩)কে রাস্তায় পেয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন।এ ঘটনার সাথে সাথেই দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
এসময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানান এবং আব্দুল হাই মিয়ার দুই মেয়ে সাদিয়া আক্তার ও তানিয়া আক্তারকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়,প্রায় ১২ বছর পূর্বে শিক্ষিকা আফিয়া খাতুনের বিয়ে হয় শায়েস্তাগঞ্জ এলাকার নিশাপট গ্রামের সবুজ মিয়ার সাথে। কিন্তু শিক্ষিকা আফিয়া খাতুন বাবার বাড়ি দৌলতপুর গ্রামে থেকেই স্কুলে শিক্ষকতা করেন।তিনি বাবার বাড়িতে থাকার সুবাদে কারণে অকারণে গ্রামের নিরীহ মানুষের সাথে ঝগড়াঝাটিতে লিপ্ত হয়ে পড়েন। শিক্ষিকার এমন কর্মকান্ড ভালো চোখে দেখছে না গ্রামের সাধারণ মানুষ।
এব্যাপারে দৌলতপুর গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বি মোঃ ছাবু মিয়া বলেন, আব্দুল হাই মিয়া বড় দরিদ্র ও অসহায় মানুষ, সে ও তার পরিবারের সাথে একজন শিক্ষিকার এমন আচরণ খুবই দুঃখজনক।স্থানীয় মুরুব্বি শাহনুর মিয়া বলেন, সামান্য একটি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে একজন শিক্ষিকা হয়ে দুটি অবুঝ মেয়েকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা সত্যিই এটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়।শিক্ষিকা আফিয়া খাতুনের এমন জঘন্যতম অপরাধ মেনে নেয়ার মতো নয়।