বাহুবল প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বাহুবলে এক কলেজ ছাত্রীকে সিএনজি যোগে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে, এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ২৯ আগস্ট সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার ডুবাঐ এলাকার ঢাকা সিলেট মহাসড়কে।

জানা যায়,বাহুবল উপজেলার ১নং স্নানঘাট ইউনিয়নের ফতেহপুর এলাকার হোসেনপুর বোয়াল গাদা গ্রামের সুরেন্দ্র দাসের মেয়ে বাহুবল অনার্স কলেজের ছাত্রী সুপ্তা দাস সোমবার সকালে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বাহির হয়। রাস্তায় এসে স্থানীয় ফতেহপুর মীরের চক গ্রামের নুরাজ মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক মোঃ লোকমান হোসেন(২৪) ও একই এলাকার আব্দুল মালিকের ছেলে হেলাল আহমেদ(২৫)কে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখতে পান।

এসময় সিএনজি চালক ওই কলেজ ছাত্রীকে কোথায় যাবেন জিজ্ঞেস করলে ছাত্রী তাদেরকে কলেজে যাওয়ার কথা বলেন।সিএনজি চালক ছাত্রীকে বলেন আমিও বাহুবলে  যাবো,চালকের এ কথা শুনে ছাত্রী সরলবিশ্বাসে  সিএনজিতে উঠেন।তারা দুই বন্ধু সিএনজি নিয়ে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ডুবাঐ বাজার অতিক্রম করলে চলন্ত সিএনজির সামন থেকে পিছনের সিটে চলে আসে চালকের বন্ধু হেলাল আহমেদ।সে পিছনে এসেই পর্দা নামিয়ে ছাত্রীর মুখ বন্ধ করার চেষ্টা চালায়।

এসময় ওই কলেজ ছাত্রী শোর-চিৎকার শুরু করলে পথচারী লোকজন এগিয়ে এসে সিএনজিকে ধাওয়া করলে চলন্ত সিএনজি থেকে ছাত্রীকে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে ফেলে দিয়ে দ্রুত সিএনজি নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। এমতাবস্থায় ডুবাঐ বাজার কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মোটর সাইকেল দিয়ে সিএনজিকে আটক করতে সক্ষম হন।পরে আটককৃত  সিএনজি চালক ও তার বন্ধুকে ডুবাঐ বাজার নিয়ে যাওয়া হয়।

এ ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ১নং স্নানঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ তোফাজ্জল হক রাহিন, সাবেক চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম, আওয়ামীলীগ নেতা ছুফি মিয়া খান, বাহুবল অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রব শাহীন,বাজার কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাধারণ নাসির উদ্দীন ও তাদের অভিভাবকরা।

এসময় সকলের উপস্থিতিতে বখাটেরা কলেজ ছাত্রীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করে এবং ভবিষ্যতে আর কোনদিন এমন জঘন্যতম অপরাধ করবেনা বলে মুচলেকা দিয়েছে।

এব্যাপারে বাহুবল অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রব শাহীন এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,ডুবাঐ এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে, বখাটেরা ছাত্রীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা ও ভবিষ্যতে এমন কাজ করবেনা বলে মুচলেকা দিয়েছে।

স্নানঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ তোফাজ্জল হক রাহিন বলেন,অপরাধীরা প্রকাশ্য ছাত্রীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছে এবং ভবিষ্যতে আর এমন কাজ করবেনা বলে মুচলেকা দিয়েছে।