নতুন কুড়িঁ নিউজ: বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট মধ্যেই ভারত থেকে আমদানি করা ২৫ লাখ লিটার অপরিশোধিত তেলের প্রথম চালান নরসিংদীর ঘোড়াশাল বন্দরে পৌঁছেছে
শনিবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে খালাস কার্যক্রম উদ্বোধন করেন দুদেশের প্রতিনিধিরা। জ্বালানি তেলের চলমান সঙ্কট নিরসনে এই চালানটি ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত ৯ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের পতাকাবাহী জাহাজটি ছেড়ে আসে। জ্বালানি তেলের চালান প্রথমে আসে মোংলা বন্দরে। পরে তেলবাহী জাহাজগুলো আসে ঘোড়াশালের শীতলক্ষ্যা নদী বন্দরের অ্যাকুয়া ফাইনারি লিমিটেড জেটিতে।
ভারতীয় হাইকমিশনার, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাকুয়া রিফাইনারি ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সকাল ১১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে তেল হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় এ্যাকোয়া রিফাইনারি লিমিটেডের পরিচালক ইরশাদ হোসেন জানান, ১৮৬২ মেট্রিক টন ন্যাপথা ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে পরিশোধন করে প্রায় ২৫ লাখ লিটার থেকে ৮০ ভাগ অকটেন ও ২০ ভাগ পেট্রোল বের করা হবে।
এই তেল সরাসরি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের কাছে যাবে। পরে পরিশোধিত তেল চলে যাবে ভোক্তা পর্যায়ে। পুরো প্রক্রিয়া শেষে ভোক্তা পর্যায়ে তেল পৌঁছাতে এক সপ্তাহের মতো সময় লাগবে। এ তেল দেশের চলমান জ্বালানি সংকট নিরসনে কার্ষকর ভূমিকা রাখবে।
বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (ট্রাফিক) রফিকুর ইসলাম জানান, তেল আমদানির প্রক্রিয়াটি ভারতের সাথে নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ।
চুক্তির আওতায় ১ লাখ ২০ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে এরিমধ্যে ১৬ হাজার মেট্রিক টন তেল আনার অনুমতি দিয়েছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়। পর্যায়ক্রমে এই তেল আমদানি করা হবে।
আর, ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশনের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাজহার আলম জানান, নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় তেল আমদানি করায় অন্যান্য দেশের চেয়ে দাম কম হবে। এই চুক্তির আওতায় আরো ৩৫০০ মেট্রিক টন ন্যাপথা ১০ দিনের মধ্যে ভারত থেকে দেশে আমদানি হবে।
উল্লেখ্য, জ্বালানি সাশ্রয়ে উচ্চ ব্যয়ের ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখার সরকারি সিদ্ধান্তের পরে সরবরাহ সংকটে দেশজুড়ে প্রতিদিন সূচি ধরে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে।