নতুন কুড়িঁ নিউজঃ পবিত্র ঈদ-উল-আযহা’র তৃতীয় দিনে গাইবান্ধার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত ভ্রমণ পিপাসুদের পদভারে মুখরিত ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ ঘাট ক্রসবাঁধ ও বালাসী ঘাট বিনোদন স্পট।আগত বিনোদনপ্রেমীদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন শ্রেণীর,পেশার এবং বিভিন্ন ভাষার মানুষ।
ফুলছড়ি উপজেলার বিনোদন স্পট গুলোর মায়ায় পড়ে অনেকেই দ্বিতীয়, তৃতীয় বারের মতোও এসেছেন বলে জানা যায়।
তবে এদের মধ্যে স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি। প্রতিটি গ্রুপেই নারী বিনোদনপ্রেমী সংখ্যা ও উল্যেখযোগ্য।নদীমাতৃক ফুলছড়ি উপজেলা তে রয়েছে দুইটি বিনোদন স্পট।
এর মধ্যে রয়েছে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত গাইবান্ধার ঐতিহ্যবাহী তিস্তামুখ ঘাট(ফুলছড়ি ক্রসবাঁধ) বহুল আলোচিত বালাসী ঘাটসহ নাম না জানা অনেক লোকেশন।
বিনোদনপ্রেমীদের খানাপিনার জন্য বালাশী টার্মিনালের ভিতরে ফুড হ্যাভেন রেস্তোরাঁ।ফুলছড়ি উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংস্কৃতিক সম্পাদক জামিরুল ইসলাম সম্রাট বলেন,তিস্তামুখ ঘাট এলাকায় সারা বছর বিনোদনপ্রেমীদের আনাগোনা থাকলেও গত বছরের চেয়ে এবার তুলনামূলক বেশি।
তবে এখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক ভ্রমন পিপাসুদের উপস্থিতি থাকলেও অনেকের রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগ, সাদুল্লাপুর থেকে আসা এক নারী বিনোদন প্রেমী বলেন,বালাশিতে আমার তৃতীয়বার আসা শুধু এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক দৃশ্যপট দর্শনে আমার হৃদয়ে অজানা প্রশান্তি অনুভূত হয়, কি যেন এক মায়া রয়েছে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় নদীর পাড়ে, তবে বালাশি ঘাট ও তিস্তামুখ ঘাটে কোন পাবলিক টয়লেট নাই, ক্লান্ত হয়ে গেলে বসার জায়গা থাকায় আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়।
বিনোদন প্রেমীদের আগমনে এই এলাকার সকল প্রকার ব্যবসায়ীরা দেখেন কিছুটা আলোর মুখ।
বিশেষত, ফুলছড়ি উপজেলার পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটাতে ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ,সহ জেলা প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন বালাসি ও তিস্তামুখ ঘাটে ঘুরতে আসা সংশ্লিষ্ট সকলে।