মীর দুলাল ” “হবিগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ওপরে মাদক ব্যবসায়ীরা হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেন। মঙ্গলবার (২২ মার্চ২২)ইং বিকাল ৪ ঘঠিকায় মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগান নাচ ঘরের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী সন্তোষ তাপস কোখন সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিদর্শক সহ দুই সিপাহী গুরুতর আহত হয়েছেন।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন ক্রেতা সেজে ১শ বোতল ফেনসিডিল ক্রয় সহ মাদক ব্যবসায়ী সন্তোষ কে আটক করার পর সংঘবদ্ধ চোরাকারবারীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে হ্যান্ডকাপ ও ফেনসিডিল চিনিয়ে নিয়ে যায়।
মাদক ব্যবসায়ী দের হামলা গুরুতর আহতরা হলেন, হবিগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারী পরিদর্শক রতন চন্দ্র গোস্বামী! সিপাহী সাদ্দাম হোসেন, সিপাহী তাপস চন্দ্র বৈঞ্চব।
খবর পেয়ে তেলিয়াপাড়া ও মাধবপুর থানার পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত দের চিকিৎসা দেওয়া হয় ।
পুলিশ হ্যান্ডকাপ ও ফেনসিডিল উদ্ধারের জন্য তেলিয়াপাড়া চা বাগানে অভিযান পরিচালনা করে রাত ৮ দিকে হ্যান্ডকাপ উদ্ধার করেছে।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে হবিগঞ্জ মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এটিএম দিদারুল আলম জানান!
মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক এমদাদুল্লাহর নেতৃত্বে তেলিয়াপাড়া চা বাগানে মাদক উদ্ধারের জন্য অভিযানে যায়।
এসময় ক্রেতা সেজে চা বাগান নাচ ঘরের সামনে ১শ বোতল ফেনসিডিল সহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে হ্যান্ডকাপ পড়ানো মাত্র শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সন্তোষ তাপস, খোকনের নেতৃত্বে ২০/৩০ জনের সংঘবদ্ধ দল মাদকব্যবসায়ী অতর্কিত হামলা চালিয়ে হ্যান্ডকাপ ও ফেনসিডিল চিনিয়ে পালিয়ে যায়।
মাদকব্যবসায়ীদের হামলায় সহকারী পরিদর্শক রতন চন্দ্র গোস্বামী সিপাহী তাপস চন্দ্র বৈঞ্চম ও সাদ্দাম হোসেন গুরুতর আহত হয়।
এ ঘটনায় পরিদর্শক এমদাদুল্লাহ ঘটনা সঙ্গে জড়িত মাদক ব্যবসায়ীদের নামে মাধবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন!
মাধবপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, পুলিশ অভিযান চালিয়ে হ্যান্ডকাপ উদ্ধার করেছে।
দায়ী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাপেক্ষে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।