নতুন কুড়িঁ নিউজ : বাহুবলে নাইট্রিক এসিডের ধোয়ায় শ্বাসকষ্ট সহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ভোগান্তির মুখে পড়ছেন পথচারী ও ব্যবসায়ীরা। স্বর্ণের দোকানে ব্যবহৃত নাইট্রিকের বিষাক্ত ধোয়া থেকে বাঁচতে ব্যবসায়ী ও পথচারীগণ নাকে হাত বা মাক্স দিয়েও রেহাই পাচ্ছেন না। এদিকে বিষাক্ত ধোয়া নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ী কমিটির পক্ষ থেকেও নেয়া হচ্ছেনা কোন পদক্ষেপ। ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা যায়, স্বর্ণালংকার তৈরি করতে স্বর্ণ থেকে খাদ বের করার জন্য পোড়ানো হয় নাইট্রিক এসিড। অলঙ্কারের সৌন্দর্য্য বাড়াতে সালফিউরিক এসিডও ব্যবহার করা হয়। এতে সোনা খাঁটি করতে যে এসিড দিতে হয় সেই ধোয়া বাতাসে উড়ে বিষাক্ত অম্লীয় বাষ্পে রুপ নেয়।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানান, বাহুবল বাজারের বানিয়াপট্টি নামে একটি মার্কেটে বেশ কয়েকটি স্বর্ণের দোকান রয়েছে। এসব স্বর্ণের দোকানে নাইট্রিক এসিডের সাথে সালফিউরিক এসিড ব্যবহার করা হয়। এতে ধোয়া উড়ে জনগণের ভোগান্তির কারণ স্বীকার করে তারা জানান, তবে ধোয়া নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এদিকে, এলাইস মিয়া, তাজুল ইসলাম, রাজন, আব্দুল্লাহ, কালা, করিম উল্লাহ সহ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও পথচারী জানান, এসবের ধোয়ায় চলাচলে নাক বন্ধ করে চলতে হয়। মাক্স লাগিয়েও রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না। এতে অনেকেই সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হতে চলেছেন।
হোটেল ব্যবসায়ী কালা মিয়া জানান আমি বিগত কয়েক দিন যাবত এ বিষয় নিয়ে পার্শ্ববর্তী স্বর্ন দোকানে সমস্যার কথা জানিয়েছি। কিন্তু তাদের কাছ থেকে আমরা কোনো প্রতিকার পাইনি। এ বিষয়ে স্বর্ন দোকানীদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা আমাদের প্রতিনিধির সাথে কথা বলতে গেলে এড়িয়ে চলে যান।
বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডাক্তার বাবুল কুমারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।