সশস্ত্র ডাকাতরা পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণলংকার সহ প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফরিদ মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ওই গ্রামের দুবাই প্রবাসী সেলু মিয়া ও আঙ্গুর মিয়ার স্ত্রী সন্তানরা রাতের খাওয়া – দাওয়া শেষে প্রতিদিনের ন্যায় ঘুমিয়ে পড়েন।
রাত প্রায় ২ টার দিকে ঘরের টিনের দরজা চিদ্র করে ১০/১২ জনের একদল ডাকাত ভিতরে প্রবেশ করে সেলু মিয়ার চাচাতো ভাই আব্দুল মমিনকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বেঁধে পেলে এবং প্রবাসীর স্ত্রী সাজেদা আক্তারকে ঘুম থেকে তুলে স্টিলের আলমারির চাবি দিতে বলে।
সাজেদা আক্তার চাবি দিতে বিলম্ব করলে তাকে ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় কুখ্যাত ডাকাত নাসির মিয়া ও ফরিদ মিয়া। এসময় সাজেদা আক্তারের ননদ ফাতেমা আক্তার চিৎকার দিয়ে উঠলে ডাকাতদল সাজেদার হাত থেকে জোরপূর্বক চাবি ছিনিয়ে নিয়ে স্টিলের আলমারি খুলে নগত ৫০ হাজার টাকা, দুই ভরি স্বর্ণালংকার, দুটি মোবাইল ফোন সেট, একটি টর্চ লাইট, দুটি কম্বল, ঘরে রক্ষিত দামী আসবাবপত্র সহ তিন লাক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়।
সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে স্থানীয় লোকজন জানান, রাজাপুর গ্রামের সমদ আলীর ছেলে ফরিদ, মিন্নত আলীর ছেলে নাসির, আব্দাল মিয়ার ছেলে পারভেজ সহ ১০/১২জনের একদল ডাকাত দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।
তারা এলাকার নিরীহ লোকজনের বাড়িতে চুরি- ডাকাতি করলেও ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা।
এদিকে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ শনিবার রাত ১০ টার দিকে ফরিদ মিয়াকে আটক করে। এ সময় কতিপয় প্রভাবশালী তদবির করলে পুলিশ পরবর্তীতে থানায় হাজির করার শর্তে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার শুকুর আলীর জিম্মায় দেয়। গতকাল রবিবার দুপুরে ফরিদ মিয়াকে পুলিশ পুনরায় আটক করেছে।
এব্যাপারে বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রকিবুল ইসলাম খান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
অপরদিকে সাজেদার ননদ ফাতেমা আক্তার জানান, ভাবির সাথে ফরিদ, নাসির ও পারভেজের ধস্তাধস্তি দেখে চিৎকার দিয়ে উঠেন।
প্রতিবেশী ইউসুফ আলী জানান, ইতিপূর্বেও প্রবাসী আঙ্গুর মিয়া ও সেলু মিয়ার বাড়িতে ৪/৫ বার চুরি- ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। একই কথা বলেন প্রতিবেশী মমতা বেগম। রাজাপুর বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, ফরিদ ও নাসিরের নেতৃত্বে এলাকায় গড়ে উঠেছে ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র।
তাদেরকে আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিচ্ছেন ওয়ার্ড মেম্বার শুকুর আলী।এব্যাপারে বাহুবল-নবীগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আবুল খয়ের এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।