বাহুবল(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বাহুবলে দশম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে, এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে রাজিবকে প্রধান আসামী করে ৪ জনের নামে অপহরণ ও নারী শিশু আইনে বাহুবল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।এজাহারে উল্লেখ্য যে, ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মামদনগর কমিউনিটি ক্লিনিক এর সামনে পাকা রাস্তার উপরে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,চুনারুঘাট উপজেলার ৬ নং সদর ইউনিয়নের গোলগাঁও গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে বাহুবল উপজেলার পশ্চিম জয়পুর গ্রামে তার নানার বাড়ি থেকে মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীতে পড়াশোনা করতঃ সে সুবাদে পশ্চিম জয়পুর গ্রামের ও নানার বাড়ির প্রতিবেশী মোঃ বাচ্চু মিয়ার ছেলে মোঃ রাজিব মিয়া(২৫) ছিল স্কুল ছাত্রীর পূর্ব পরিচিত। গত বৃহস্পতিবার সকালে স্কুল ছাত্রী নানার বাড়ি থেকে স্কুলে আসলে আর বাড়িতে ফিরে যায়নি, এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর মামা হেলাল মিয়া বাহুবল মডেল থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরী জিটি এন্ট্রি নং( ৯২২) দায়ের করেন। শনিবার ২৩ অক্টোবর সকালে গোপন সূত্রে বাদী রুজিনা আক্তার জানতে পারেন তার অপহৃত মেয়ে ঢাকায় একটি অজ্ঞাতস্থানে রয়েছে। এ সংবাদ পেয়ে বাদী ও তার পরিবারের লোকজন ঢাকা মহাখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় খুজতে শুরু করেন, একপর্যায়ে বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে ৪ নং আসামী রাশেদ মিয়া বাদীর ভাই দুলাল মিয়াকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে জানায় অপহৃত স্কুল ছাত্রী ফকিরাপুল মোড়ে পানির ট্যাংকির কাছে রয়েছে, এ কথা শুনে বাদী তার পরিবারের লোকজনকে নিয়ে সেখানে গিয়ে তার মেয়েকে খুঁজে পান। বিষয়টি বাহুবল মডেল থানা পুলিশকে জানালে মডেল থানার এস আই ফুয়াদ আহমেদ একদল পুলিশ নিয়ে ঢাকা গিয়ে ভিকটিমকে বাহুবলে নিয়ে আসেন।এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে,বাচ্চু মিয়ার ছেলে রাজিব মিয়া(২৫) রাজিবের চাচা ফরিদ মিয়া(৪৫) মোঃ মোতাব্বির হোসেনের ছেলে বন্ধু তারেক মিয়া(২২) ও তিতারকোনা গ্রামের আলফাজ মিয়ার ছেলে রাশেদ মিয়া(২৫)কে আসামী করে বাহুবল মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, মামলা নং ৮/ ২৪ বাহু।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রাজিবের পরিবার ও তার চাচা ফরিদ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন,রাজিবের সাথে মেয়েটির দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক ছিল।গত বৃহস্পতিবার তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়, শুনেছি পরে মেয়েটি তার বাবার বাড়িতে আসলে পুলিশ বাড়ি থেকে মেয়েটিকে থানায় নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে বাহুবল মডেল থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মোঃ আলমগীর কবির এর সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিমকে তার পরিবারের লোকজন ঢাকা ফকিরাপুল পানির ট্যাংকির সামনে থেকে উদ্ধার করে আমাদেরকে জানায়,পরে বাহুবল মডেল থানার এস আই ফুয়াদ আহমেদ একদল পুলিশ নিয়ে ঢাকা থেকে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
ভিকটিমকে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, তার পর তাকে আদালতে হাজির করা হবে।