বাহুবল প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম জয়পুর-সাটিয়াজুরী সড়কের পশ্চিম জয়পুর গ্রামের ভিতরের কিছু অংশ নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির পরিমান বাড়লেই যেকোনো মুহূর্তে সড়কটির পুরো অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহি একটি গ্রাম পশ্চিম জয়পুর। ওই গ্রামের উপর দিয়া যাওয়া পাকা সড়কটি দিয়ে কয়েকটি গ্রাম তথা পার্শ্ববর্তী চুনারুঘাট উপজেলাসহ বিভিন্ন গ্রামের কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ চলের এক মাত্র এ রাস্তা। এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়তই ট্রাক্টর,সিএনজি অটোরিক্সা সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে।
ওই রাস্তার একটি অংশ গ্রামের ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীতে বিলীন হওয়ার পথে। সড়কটির বেশির ভাগই নদে চলে গেছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে পুরো সড়কটি নদে বিলীন হয়ে যেতে পারে। সড়কটি পুরো বিলীন হয়ে গেলে হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।
সম্প্রতী সরকার নদীটি খনন করলে রাস্তাটি ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। এ বছর বৃষ্টি না থাকায়ও রাস্তার অর্ধেক অংশ নদীতে তলিয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন সড়কটির অপজিট সাইট মাঠি দিয়ে ভরাট করে আসা যাওয়া করছে।
ওই সড়ক দিয়ে নিয়মিত আসা যাওয়াকারী দাসপাড়া গ্রামের স্ববজি ব্যবসায়ী দরবেশ আলী জানান, সম্প্রতি নদীটি খনন করার পর থেকে সড়কটি ভেঙ্গে নদীতে পড়ে সড়কটি ছোট হয়ে যাচ্ছে।
চাইরা গ্রামের জাবেদ আলী বলেন, এ বছর বৃষ্টি না থাকায় সড়কটি অর্ধেক ভেঙ্গে নদীতে পড়েছে। বৃষ্টির পানি বাড়লে পুরো সড়কটি নদীতে চলে যাবে।বন্ধ হয়ে ১০ হাজার মানুষের চলাচলের মূল সড়কটি।
পশ্চিম জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ্ব হোসাইন আহমদ শামীম বলেন, এই সড়ক দিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা চুনারুঘাট যাওয়ার সহজ রাস্তা। ওই সড়ক দিয়ে শুধু বাহুবল উপজেলার বাসিন্দাই নয়, চুনারুঘাট উপজেলার সাটিয়াজুরী,সুন্দরপুর এলাকার হাজার হাজার মানুষ আসা যাওয়া করেন।
পশ্চিম জয়পুর গ্রামের ওয়ার্ড মেম্বার শামীম আহমদ বলেন, সড়কটি খুব গুরুত্বপূর্ন। সড়কটি দ্রুত মেরামত করে দিতে এলজিইডি পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ বিভিন্ন অফিস আদালতে তদবির করেছি। দেখি কি করা যায়।
বাহুবল উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি ৩/৪দিন হল যোগদান করেছি, বিষয়টি জানতে পারিনি। বিষয়টি জেনে অবশ্যই দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করব।