বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন যুবলীগ কর্মী নজরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার বিকালে বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়ন হলরুমে লিখিত বক্তব্য দেন তিনি।
নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, বুধবার বিকাল ৪টায় পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ওই খেলায় অংশ নেওয়ার জন্য ঢাকা থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্লাবের কিছু খেলোয়াড় পাথরঘাটায় আসেন। আমি খেলোয়াড়দের নিয়ে মাঠে যাওয়ার জন্য প্রাইভেট কারে রওনা হই। পাথরঘাটা আকন মার্কেটের সামনে পৌঁছলে স্থানীয় সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন মোটরসাইকেল বহর নিয়ে আমাদের প্রাইভেটকারের পেছনে এসে পৌঁছান।
এ খেলায় তিনিই ছিলেন প্রধান অতিথি। তিনি আমাদের প্রাইভেটকারকে সাইড দিতে বলেন। রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ার কারণে ড্রাইভারের তাৎক্ষণিক সাইড দিতে কিছুটা বিলম্ভ হয়। তখন আমি উদ্যোগ নিয়ে সংসদ সদস্যের গাড়িবহর পার করে দেওয়ার ব্যবস্থা করি।
পরে খেলার মাঠে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ করেন এমপি। আমিও খেলোয়াড়দের নিয়ে মাঠে উপস্থিত হই। পাথরঘাটা পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজাদাসহ ৪-৫ জন আমাকে সংসদ সদস্যের কথা বলে মঞ্চে ডেকে নিয়ে যান এবং আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন বলেন, নজরুল একটা বাজে ছেলে। ওর অপকর্মে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। ওর নামে অনেক মামলা আছে। প্রতিদিন ওর বিরুদ্ধে আমার কাছে নালিশ আসে। আমি ওকে বেয়াদবি করতে নিষেধ করেছি।