নতুন কুঁড়ি নিউজ: বাহুবল উপজেলার প্রাচীন বিদ্যাপীঠ বাহুবল কাসিমুল উলুম মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা আজিজুর রহমান মানিক কে নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী হবিগঞ্জের স্থানীয় একটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পুরো উপজেলা।
মাওলানা আজিজুর রহমান মানিক নিয়মবহির্ভুতভাবে নায়েবে মুহতামিম পদ ব্যাবহার করে মাদ্রাসার উন্নয়ন কর্মকান্ডে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা করেছেন মর্মে সম্প্রতি উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাইসহ কয়েকটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বাহুবল বাজারের কয়েকজন ব্যাবসায়ী সাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবরে দাখিল করা হয়।
এবং এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে হবিগঞ্জের স্থানীয় একটি পত্রিকা একটি সংবাদ প্রকাশ করে। আজিজুর রহমান মানিককে জড়িয়ে সংবাদটি বাহুবলবাসির দৃষ্টিতে এলে, কওমী অঙ্গনের আলেম সমাজ, সাবেক – বর্তমান শিক্ষার্থী ও বিশিষ্টজনদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নিন্দা জানিয়ে দেশে ও বিদেশ থেকে শুরু হয় লেখালেখি। এতে বাহুবল এর সার্বিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে।
এদিকে ওই অভিযোগে সাক্ষরকারী বাহুবল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আজমল হুসেন চৌধুরী বৃহস্পতিবার সকালে তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, এ ঘটনার কিছুই তিনি জানেন না। তিনি আরও বলেন, যে মাদ্রাসার মুহতামিম শায়খুল হাদীস আল্লামা মনির উদ্দিন হবিগঞ্জের একজন সর্বজন শ্রদ্ধেও ব্যাক্তিত্ব, তার প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম দূর্নীতি হওয়ার প্রশ্নই আসেনা।
অভিযোগে সাক্ষরকারী পুটিজুরী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ মুদ্দত আলী বলেন, মাদ্রাসার কমিটি হবে মর্মে একটি রেজুলেশন করা হয়েছে, সব চেয়ারম্যান সাক্ষর করেছেন, এখন আমার সাক্ষর বাকি রয়েছে, কথাটি শুনে মাদ্রাসার স্বার্থে আমি সাক্ষর করেছি।
আমি মাওলানা আজিজুর রজমান মানিক এর পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো সাক্ষর করিনাই। অভিযোগে সাক্ষরকারী মিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ বলেন, আমি অভিযোগে কোনো সাক্ষরই করিনাই, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।
এ প্রসঙ্গে মাওলানা আজিজুর রহমান মানিক বলেন, বাহুবল কাসিমুল উলুম মাদ্রাসার সামনে হাবিবুর রহমান এর মালিকানাধীন বিছমিল্লাহ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের একটি গোডাউন রয়েছে মাদ্রাসার ভিতরে।
ওই গোডাউনে রেস্টুরেন্টের মাছ- মাংশ ও বিভিন্ন জিনিসপত্র রাখার কারনে প্রতিনিয়ত দূর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। এতে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ব্যাঘাত সৃষ্টি হলে আমরা রেজুলেশন করে ওই গোডাউন ওইখান থেকে সরাতে বলি, কিন্ত হাবিবুর রহমান ২ মাস, ৩ মাস করে বিভিন্ন সময় পার করেছেন।
আগামি কয়েক দিনের মধ্যে আরেকটি তারিখ রয়েছে গোডাউন সরানোর। তাই তারিখ আসার আগেই হাবিবুর রহমান আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচার শুরু করেছে।
বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে বাহুবলে কওমী আলেম ওলামাসহ পুরো উপজেলায় উত্তপ্ত বিরাজ করছে।