স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার দীঘলবাক ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামে শ্নাশান ঘাটে হিন্দুদের লাশ দাহ নিয়ে গ্রামের দু’টি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ প্রায় ২ যূগের বিরোধ অবশেষে স্থানীয় বিশিষ্ট সামাজিক ব্যক্তিবর্গ ও ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোছলেহ উদ্দীন আহমেদ এর প্রচেষ্টায় সুস্ট ভাবে নিষ্পত্তি হয়েছে৷ এতে গ্রাম তথা এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে৷ এনিয়ে গত ২২ জানুয়ারি ওই গ্রামের জনৈক দুলাল মিয়া, ইউনুস মিয়া গং এর সাথে একই গ্রামের স্বপন সুত্রধর, অজয় সুত্রধর গং দের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। হিন্দুদের ভাষ্য মতে তারা ২০/৩০ বছর পূর্ব হতে নালিশা জায়গায় মৃত দেহ দাহ করে আসছেন তারা ।
অপরপক্ষ ইউনুস, দুলাল গংদের দাবী ছিল , তাদের বাড়ীর সমনে দাহ করলে লাশের গন্ধ ও ধোয়া ঘরে ঢুকে। এ নিয়ে গত ২২ জানুয়ারি তারিখে জনৈক হিন্দু লোক মারা যাওয়ায় দাহ নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয় এবং পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় রাত ১০ টার দিকে দাহ করা সম্পন্ন হয়। তাদের মধ্যে উক্ত বিষয় নিয়ে ক্ষোভের বিষয়টি জানতে পেরে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১ টা হতে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার গন্যমান্য লোকজন নিয়ে ইনাত গঞ্জ পুলিশ অফিসার ইনচার্জ , আপোয মীমাংসার জন্য ঘটনাস্থলে বৈঠকে বসেন। বেলা ২টায় শান্তি পূর্ণ ভাবে সামাজিক বিচার পঞ্চায়েত সম্পন্ন হয়।
উপস্থিত লোকজন মৃতদেহ দাহ করার জন্য ১৫ হাত এবং কবর দেওয়ার জন্য আরে ২০ হাত জায়গায় চিহ্নিত করে পক্ষদয়’ কে বুঝিয়ে দেন। উপরন্ত, জায়গা ভরাট নিয়ে যাতে পূণরায় কোন সমস্যা না হয়, সে বিষয়ে ইনচার্জের অনুরোধে খসরু মেম্বার নিজে উপস্থিত থেকে মেম্বারের নিজের টাকায় শ্মশানের জায়গা ভরাট করে দিবেন মর্মে খসরু মেম্বার প্রতিশ্রুতি দেন।
এতে উভয় পক্ষ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন এবং পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগসহ সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সৃস্ট বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাদানে সামাজিক বিচার পঞ্চায়েতের লোকজন ও ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপণ করেন,গ্রামবাসী৷