কে এম রায়হান::ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এখন যেন মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে।গত ১৪ ফেব্রুয়ারী ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর বাজারের তরুন ব্যবসায়ী এমাদ আহমদ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সোয়ারগাওঁ নামক স্থানে মর্মান্তিক মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন।তরুণ ব্যবসায়ী এমাদ আহমদের এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে তার পরিবারের কান্না এখনও থামেনি। শোকে কাতর তার পরিবারসহ আত্মীয় স্বজনরা।
তারমধ্যে ২৬ ফেব্রুয়ারী রোববার বিকাল ৫টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গোয়ালা বাজার গয়নাঘাট নামক স্থানে আরেকটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা।সিলেট থেকে শেরপুরগামী বিরতিহীন নামক একটি লোকাল বাস বেপরোয়া গতিতে পেছনদিক থেকে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।
দূর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত দুই মোটরসাইকেল আরোহী জাহেদ ও রেদোয়ান আহমদকে হাইওয়ে পুলিশ ও ওসমানীনগর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহেদ আহমদকে মৃত ঘোষণা করেন।এবং সর্বশেষ রাত নয় ঘটিকার সময় অপর মারাত্মকভাবে আহত যুবক রেদোয়ান আহমদ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছে।নিহত জাহেদ আহমদ উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের কমরপুর গ্রামের ও নিহত রেদোয়ান আহমদ ধনপুর গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় পুরো উপজেলাজুড়ে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।
শোকে কাতর তাদের পরিবারসহ আত্মীয় স্বজনরা।তার মধ্যে ২৭ ফেব্রুয়ারী সমবার রাত ৮টায় লড়ির চাপায় গ্লোভাল বিস্কুট কোম্পানির এস আর মোজাম্মিল নামের আরেক জন ব্যক্তি রোড এক্সিডেন্টে মারা যায়।২৮ ফেব্রুয়ারী মঙ্গল বার রাত ৯ টার সময় উমরপুর ইউনিয়নে মোল্লা পাড়া নিবাসী জনাব খালিকুর রহমান সাহেবের ছোট ছেলে লতিফুর রহমান সিলেট যাওয়ার পথে লালাবাজার সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ঢাকা- সিলেট মহা-সড়কে রোড এক্সিডেন্টে ঝরে পরলো ৫ টি তাজা প্রান।ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দিন দিন এসব দূর্ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা।প্রশ্ন উঠছে মহাসড়কে নিরাপদে চলাচলের নিরাপত্তা নিয়েও।