বাহুবল প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের মীরেরপাড়া গ্রামের আব্দুল মতিন ওরফে আব্দুল মতলিব মারা যান প্রায় দুই মাস পূর্বে।
তিনি জীবিত থাকা কালীন সময়ে সকল ছেলে মেয়েদের সম্পদ বণ্টন করে গেছেন।
এ হিসেবে তার পুত্র কুতুব উদ্দিন, আব্বাস উদ্দিন, আব্দুল হাই ও জালাল উদ্দিন ও বোনেরা সম্পদ আলাদা করে বণ্টন দিয়ে যান।
কিন্তু ছোট ভাই জালাল উদ্দিনকে যে সম্পদ দেয়া হয়, তার বাড়ির ভিটা জোরে বলে লুটে নেয়ার যোগসাজস চেষ্টা চালাচ্ছে কুতুব, আব্বাস ও আব্দুল হাই মিলে।
এই সম্পদ লুটে নিতে বিভিন্ন ফন্দি, হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন এই তিন ভাই ।
তাদের অত্যাচার নির্যাতনে ঠিকতে পারছে না জালাল উদ্দিন।
এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকটি গ্রাম্য সালিশ বয়কট ও হয়েছে। কিন্তু বিবেকহীন ভাইয়েরা ছোট ভাইয়ের উপর জুলুম নির্যাতন করেই যাচ্ছে।
অবশেষে ছোট ভাই জালাল উদ্দিন ২৮ এপ্রিল বাহুবল মডেল থানায় একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় মিলে তাকে পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার নানান চেষ্টা করছে।
এদিকে আসামীদের অতীত খোজ খবর নিয়ে জানাযায়, এমন কোন অপরাধ কর্ম নেই যা তারা করছে না। এলাকায় চুরি ডাকাতি লুটপাট ও খুন খারাবী সহ সকল অপকর্মেই থাকে তারা।
জানা যায়, ২০০৫ সালে আব্বাস উদ্দিন মীরেরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাই পেটল মিয়ার পুত্র সোহেল মিয়াকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কুপিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে পরে সোহেলের অবস্থা গুরুত্ব হয়ায় থাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
পুটিজুরীর শ্যামল রাবার বাগানে পাহারাদারকে হত্যা করে ডাকাতি সংঘটিত হয়। ওই হত্যার মামলারও আসামী ও ছিল কুতুব উদ্দিন।
২০১৬-১৭ সালে পুটিজুরী ইউপি অফিসের সামনে গণ শুনানীতে গরু চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত হয় আব্দুল হাই ও আব্বাস উদ্দিন। এসময় তাকে গণধোলাই দেয়া হয়।
এছাড়া বিভিন্ন বিদ্যুতের তার চুরিরও অভিযোগ লোক মুখে চাউর রয়েছে।
সূত্র আরো জানায় , এই ৩ ভাইয়ের সিন্ডিকেটটি একই গ্রামের নিরীহ হান্নান মিয়ার জমি জোরে বলে নিয়ে ভোগ দখল করছে। এছাড়া রাবার চুরি, চা চুরি, সরকারি গাছ পাচারে তারা সরাসরি জড়িত বলে অনুসন্ধানে জানা যায়।