বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের বাহুবলে সন্ধ্যা রাতে বাসায় ঢুকে বৃদ্ধা মহিলাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফিল্মি স্টাইলে স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ের ঘটনার মূল হোতা সাইফুল ইসলামকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গত ১৫ জানুয়ারি রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার ডুবাঐ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বাহুবল উপজেলার ডুবাঐ আব্দাকামাল গ্রামের হাজী মোহাম্মদ আলী গত ১৫ জানুয়ারি রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে ডুবাঐ মাদ্রাসা মসজিদে এশার নামাজ পড়তে যান।

এ সুযোগে আবুল কালাম ও মামুন মিয়ার নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত তার ডুবাঐ বাজারের বাসায় প্রবেশ করে, এ সময় হাজী মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী হাজী মোছাঃ গুল বানু(৫০) তাদেরকে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দ্রুত বৃদ্ধা মহিলার গলা থেকে ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন,হাতের বালা, নাক ও কানের দোল সহ প্রায় ২ ভরি স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়।

এমতাবস্থায় ওই বৃদ্ধা মহিলা শোর-চিৎকার শুরু করলে বাসার ভাড়াটিয়া ও হাজী মোহাম্মদ আলী এগিয়ে আসতে থাকলে দুর্বৃত্তরা বাসার দেয়াল টপকে পালিয়ে যায়। এসময় মামুন মিয়া(২৫) নামে একজনকে চিনতে পারেন তিনি। পরে ১৬ জানুয়ারি সোমবার বেলা ২ টার দিকে গোলগাঁও গ্রামের কদ্দুস মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া ডুবাঐ বাজার হয়ে অন্যত্র পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা তাকে আটক করলে মামুন মিয়া এলাকাবাসীর সামনে ঘটনাটি স্বীকার করে এবং তার সহযোগীদের নাম প্রকাশ করে।

এর কিছুক্ষণ পর প্রতিবেশী ধুপাকাই গ্রামের আলাল মিয়ার ছেলে আবুল কালাম(২৩)কে আটক করেন এলাকাবাসী।পরে মামুন মিয়া ও আবুল কালামের কাছ থেকে বিস্তারিত শুনে থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে পুটিজুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই অলি উল্লাহ,র নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে এলাকাবাসী মামুন মিয়া ও আবুল কালামকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এর পরই ছিনতাইয়ের লুটিত মালামাল নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় সাইফুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা।

এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়লে রাতে বাহুবল-নবীগঞ্জ সার্কেল সিনিয়র এএসপি মোঃ আবুল খয়ের ও বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রকিবুল ইসলাম খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পরে হাজী মোহাম্মদ আলী প্রকাশিত মামদ হাজী বাদী হয়ে মামুন মিয়া(২৫) আবুল কালাম(২৩) সহ ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে বাহুবল মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার থানায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্ধর্ষ ছিনতাই মামলা রুজু করা হয়।মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় এস আই অলি উল্লাহকে।

গত সাপ্তাহে এস আই অলি উল্লাহ ইন্সপেক্টর পদে পদন্নোতি পাওয়ায় মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় এস আই নাজমুল হোসেনকে।এস আই নাজমুল হোসেন তদন্তভার গ্রহণ করার পর তিনি আসামীদের গ্রেফতার করতে বুধবার ৮ ফেব্রুয়ারী দুপুর ১ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা গাজীপুর কাশিমপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে লুটিত মালামাল সহ  মন্ডল কাঁপন গ্রামের বকুল মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। বুধবার রাতে সাইফুলকে বাহুবল মডেল থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।বৃহস্পতিবার পুলিশ থাকে আদালতে প্রেরণ করে।