বিশেষ প্রতিনিধি: হিরো আলমের গালে আবেগে চুম্বন করলেন সেই শিক্ষক। বিনোদন প্রতিবেদক হিরো আলমের গালে আবেগে চুম্বন করলেন সেই শিক্ষক। হিরো আলমের গালে আবেগে চুম্বন করলেন সেই শিক্ষক।
আবেগে হিরো আলমকে জড়িয়ে ধরলেন তারপর গালে মুখে চুমু খেলেনল শিক্ষক এম মুখলিছুর রহমান।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামের হাজী আবদুল জব্বার জি এল একাডেমি অ্যান্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক এম মুখলিছুর রহমান হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দেওয়ার কথা বলেছিলেন। সেই গাড়ি নিতে মঙ্গলবার হবিগঞ্জ যান হিরো আলম।
হিরো আলম একটি গাড়িতে হবিগঞ্জ পৌঁছলে সেখানে অপেক্ষারত খলিছুর রহমান হিরো আলমকে জড়িয়ে ধরেন। এ সময় হিরো আলমকে আবেগে বারবার চুমু খেতে থাকেন। এরপর হাতে গাড়ির চাবি ও কাগজপত্র বুঝিয়ে দিয়েছেন ওই শিক্ষক। গাড়িটি নিজে ব্যবহার না করে রোগী সেবায় অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন হিরো আলম।
শিক্ষক মুখলিছুর রহমান বলেন, ‘সিলেট বিভাগের পক্ষ থেকে আমি ওয়াদা করেছিলাম নির্বাচনে হিরো আলম জয়ী হন বা না হন তাকে একটি গাড়ি উপহার দেব। সেটি বুঝিয়ে দিয়েছি। হিরো আলম বাংলার বাঘ।
গাড়ি উপহার পাওয়ার পর হিরো আলম বলেন, ‘যাদের মন আছে তাদের অর্থ নেই। ভালোবাসার জিনিস অনেক বড় পাওনা। সিলেটবাসী প্রমাণ করল, তারা কথা দিলে কথা রাখে। গাড়িটি ভালোবাসার জিনিস। এই গাড়ি আমি ব্যবহার করব না। এটি দিয়ে রোগীদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘গাড়িতে ফোন নম্বর দেওয়া থাকবে। ফোন দিলে অসহায় মানুষকে এই গাড়ি অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেওয়া হবে। জনগণের ভালোবাসায় এতদূর এসেছি। মানুষের সেবায় কাজ করে যেতে চাই।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বগুড়া ৬ ও ৪ আসনের উপনির্বাচনে একতারা প্রতীকে প্রার্থী হন হিরো আলম। নির্বাচনের আগে গত ৩১ জানুয়ারি মুখলিছুর রহমান তার ফেসবুক লাইভে এসে হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
মুখলিছুর রহমান লাইভে বলেন, ‘হিরো আলম এক সময় জিরো ছিলেন। জিরো থেকে তিনি হিরো হয়েছেন। হিরো আলম এখন সোনার টুকরা। দুই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। বগুড়ার মানুষ জানের চাইতে তাকে বেশি ভালোবাসেন। তিনি বগুড়ার মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন।
হিরো আলমের নির্বাচনে ফল যেটাই আসুক না কেন নিজের ব্যবহৃত নোয়াহ মাইক্রোবাসটি উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। পরে আরেকটি ভিডিওতে মুখলিছুর তার বাড়িতে গিয়ে উপহারটি নেওয়ার জন্য হিরো আলমকে অনুরোধ জানান।
প্রথমে হিরো আলম ওই শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। কয়েকদিন পর আবার আক্ষেপ প্রকাশ করে ফের লাইভ করেন মুখলিছুর। এরপর যোগাযোগ করেন হিরো আলম। অবশেষে সেই গাড়ি পেলেন হিরো আলম।