বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।। বাহুবল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফসলি জমি থেকে মাটি পাচারের সাথে সাথে সরকারি খাস ভূমি কেনাবেচার অভিযোগ উঠেছে। তাও আবার এক ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে উক্ত খাস খতিয়ানভুক্ত জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে রাতের আঁধারে খনন করা হয়েছে পুকুর। এ অভিযোগটি উপজেলার ৭নং ভাদেশ্বর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বিহারীপুর মৌজার খোজারগাও গ্রামে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, বিহারীপুর মৌজায় খোজারগাও গ্রামের দক্ষিন পাশে খাস খতিয়ান ভুক্ত সরকারি জায়গা একই ইউনিয়নের চারগাও গ্রামের জনৈক আব্দুস সহিদকে ভূমিহীন হিসাবে উপজেলা ভূমি অফিস থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়। পরবর্তীতে খোজারগাও গ্রামের মৃত জহুর হোসেনের ছেলে ছায়েদ আলী ধানের ফসল ফলিয়ে ভোগ দখল করতে থাকেন।
প্রায় দুই বছর আগে উক্ত খাস জমির পাশে নতুন বাড়ি করেন কচুয়াদি গ্রামের আকল মিয়ার ছেলে সাইদুল মিয়া। সম্প্রতি সাইদুল মিয়া সরকারি খাস ৮ শতক জমি ছায়েদ মিয়ার নিকট থেকে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার বিনিময়ে ক্রয় করেন এবং স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় সাইদুল মিয়া রাতের আঁধারে এক্সেবেটর দিয়ে পুকুর খনন করে শাইল জমির শ্রেণি পরিবর্তন করেন।
এ ব্যাপারে সাইদুল মিয়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসেের তহসিলদারকে অবগত করে ভুমিটি ক্রয় করেছেন বলে প্রচার করছেন।
এদিকে সরকারি খাস ভূমি ক্রয়-বিক্রয় সম্পর্কে ইউপি সদস্য ইদ্রিস আলীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সরকারি জমিটি ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিয়েছেন ছায়েদ মিয়া। আর তার কাছ থেকে সাইদুল মিয়া ক্রয় করে পুকুর দিয়েছেন।
তবে বাহুবল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ রুহুল আমিন জানান, সরকারি জায়গা ক্রয়-বিক্রয় অবৈধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। যদি কেউ এ ধরনের করে থাকে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।