সাগর আহমেদ বিশেষ প্রতিনিধি : বাহুবল উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের সুন্দ্রাটিকি গ্রামে খাস খতিয়ানভুক্ত শ্মশানের কিছু অংশ এবং মালিকানা ভূমির বিরোধ অবশেষে চুড়ান্তভাবে মিমাংসা করে দেয়া হয়েছে। ২৯ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে বিরোধের মিমাংসা করে দেন ইউপি চেয়ারম্যান, পুলিশ অফিসার ও মুরুব্বিয়ান।
এর আগে গত বছরের ১৮ জুলাই দুপুরে বাহুবল উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোঃ রুহুল আমিনের নেতৃত্বে সার্ভেয়ার ও থানা পুলিশ বিরোধীয় ৩৬ শতক খাস খতিয়ানের শ্মশানের ভূমির সীমানা চিহ্নিত করে দেন পাকা পিলার স্থাপনের মাধ্যমে। কিন্তু উভয় পক্ষে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন থাকায় এবল স্থানীয় নেতৃত্বের দূর্বলতায় উক্ত বিরোধীধের স্থায়ী মিমাংসা হয়নি। এতে শ্মশান কমিটি ও পাশের একটি বাড়ির বাসিন্দার মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিল। গতকাল কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে বিবদমান দুই পক্ষ সহাবস্থানে ফিরে এসেছে।
জানা যায়, উপজেলার ৭নং ভাদেশ্বর ইউনিয়নের সুন্দ্রাটেকি গ্রামের প্রবাসী এখলাছ মিয়ার স্ত্রী হনুফা বেগম ও প্রতিবেশী মৃত সুনীল পালের ছেলে অজয় পালের মধ্যে শ্মশান ও মালিকানা জায়গা নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
উপজেলা ভূমি অফিসের মাধ্যমে পাকা পিলার স্থাপন করার পরও হনুফা বেগম তার প্রতিপক্ষের বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণে একাই বাধার সৃষ্টি করেন। রবিবার সকালে সরকারিভাবে চিহ্নিত শ্মশানের বাউন্ডারি নির্মাণ করতে গেলে শ্মশান কমিটিকে বাধা দেন হনুফা বেগম। এতে উত্তেজনা তৈরি হলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ভাদেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বশির,রশিদপুর বাজার কমিটির সভাপতি হারুনুুর রশিদ, ফয়জাবাদ হাইস্কুলের সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য নাছিম উদ্দিন, সাংবাদিক ছাদিকুর রহমান, সাংবাদিক এম সাজিদুর রহমান, কামাইছড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ফারুক, এএসআই আব্দুস সামাদ আজাদ বাহুবল উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিহার রঞ্জন দেব সহ গ্রামের মুরুব্বিয়ান।
এ সময় উভয়পক্ষের সম্মতিতে পুলিশ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও মুরুব্বিয়ান হনুফা বেগমের চলাচলের সুবিধার্থে ১৩ ফুট জায়গা রাস্তা বাবদ উন্মুক্ত করে দিয়ে বিরোধের মিমাংসা করেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান সকলের উপস্থিতিতে শ্মশানের বাউন্ডারি কাজের উদ্বোধন করেন।