স্টাফ রিপোর্টর।। চুনারুঘাট উপজেলার উপজেলার হাতিমারা চা বাগানের আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার সংবাদে রীতিমতো শুরু হয়েছে তোলপাড়। বাগানের উচু নিচু টিলায় নতুন করে চা গাছের চারা রোপনের লক্ষে কিছু ফলবৃক্ষ ও আগাছা নিধনের করার ঘটনার জের নড়েচড়ে বসে বনবিভাগ। বছর দেড়েক আগে মৃত পাখি ও বানরের ছবিসহ মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ায় তদন্তে নামে বন কর্তৃপক্ষ । একাধিক তদন্তেও ওই তথ্যের কোন সত্যতা পাননি রেমা-কালেঙ্গা বনের রেঞ্জার মোঃ খলিলুর রহমান।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, সম্প্রতি কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে তিনি হাতিমারা চা বাগানের সেই এলাকা পরিদর্শন করেন ২৩ জানায়ারী। এ সময় তার সাথে ছিলেন রশিদপুর বনবিটের বিট কর্মকর্তা মোঃ সাইদুল হক সহ বনরক্ষীরা। উক্ত বন কর্মকর্তা বলেন, সরজমিন যা পেয়েছি তা আমাদের আইনের মধ্যে পড়েনা। এখানে যা পেয়েছি আম, কাঠাল ও তিতুল কাটা হয়েছে আবাদের জন্য। যেখানে চা গাছের চারা রুপন করার কথা জানিয়েছে বাগান কর্তৃপক্ষ। এটা তার নিজস্ব ব্যাপার। তবে বন্যপ্রাণী মারা গেছে কি না এ ব্যাপারে তদন্ত আরও চলবে।
তিনি বাগান বস্তির বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে বলেন, এখন পর্যন্ত বন্যপ্রাণী মারা যাওয়ার কোন তথ্য পাইনি।
হাতিমারা বাগানের শ্রমিক অমল কাস্তা বলেন, সম্প্রতি এখানে কোন বন্যপ্রাণী মারা যায়নি এবং রেমা কালেঙ্গা বনবিট হাতিমারা থেকে অন্তত ২০ কিলোমিটার হবে। আর এই এলাকা ফিনলে চা কোম্পনীর আওতাধীন।
এ ব্যাপারে চা বাগানের ব্যবস্থাপক গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, চা বাগানের পতিত ভুমি আবাদে বিধি মেনেই নতুন চা গাছ রুপনের কাজ চলছে।