বাহুবল প্রতিনিধি: বাহুবলে নসিমন চুরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে জনতা। পরে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হলে তাকে তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ ২৭ পিচ মরণ নেশা ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে ২০ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেলে উপজেলার স্বস্তিপুর গ্রামে।
জানা যায়, বাহুবল উপজেলার ১নং স্নানঘাট ইউনিয়নের স্বস্তিপুর গ্রামের কাজল মিয়ার গত কিছুদিন আগে একটি নসিমন গাড়ি চুরি হয়। এর পর থেকে গাড়িটি বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করতে থাকেন কাজল মিয়া। শুক্রবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্বস্তিপুর গ্রামের মৃত আয়ূব আলীর আহমদ আলীকে গ্রামবাসী নিয়ে আটক করেন কাজল মিয়া। পরে আহমদ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে ২নং পুটিজুরী ইউনিয়নের বাঘেরখাল গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে মোঃ রমজান আলীর কথা স্বীকার করে। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে রমজান আলীকে খবর দিয়ে স্বস্তিপুর গ্রামে নেয়া হয়।একপর্যায়ে সাবেক চেয়ারম্যান সহ স্থানীয়রা রমজান আলীকে তল্লাশি করে তার কাছ থেকে ২৭ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করেন।
।এ নিয়ে বিকেল থেকে রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত স্বস্তিপুর গ্রামে স্নানঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ তোফাজ্জল হক রাহিন সহ এলাকার বিশিষ্ট ময়মুরুব্বিয়ান এক বিচার শালিসে বসেন। দীর্ঘ চেষ্টার পর বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় ঘটনাটি বাহুবল থানা পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে রাত ১০ টার দিকে পুটিজুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ মোবারক হোসেনের নেতৃত্বে এস আই অলি উল্লাহ সহ একদল পুলিশ গিয়ে রমজান আলীকে থানায় নিয়ে আসেন। এ বিষয়ে থানায় আটককৃত রমজান আলী জানান আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।
এ বিষয়ে স্নানঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ তোফাজ্জল হক রাহিন বলেন, শুক্রবার দিনের বেলায় স্বস্তিপুর গ্রামে নসিমন গাড়ি চুরির অভিযোগে রমজান আলীকে আটক করে জনতা, সে প্রায়ই প্রকাশ্য এলাকায় ইয়াবা বিক্রি করতে আসে।এসময় স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে সাবেক চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলমের কাছে নিয়ে গেলে তার কাছ থেকে ২৭ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়, পরে তাকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাহুবল মডেল থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত প্রজিত দাস জানান, রমজানের বিরুদ্ধে ডাকাতি সহ একাধিক মামলা রয়েছে, তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে।