স্টাফ রিপোর্টার: হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার মিরপুরে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের ঘটনা সামাজিক ভাবে নিষ্পত্তি করতে তিনদিন ধরে টাকা নিয়ে এলাকার বিশিষ্ট জনদের কাছে দৌড়ঝাপ শুরু করে দিয়েছেন ধর্ষক আতর আলীসহ সাঙ্গপাঙ্গরা। কয়েক মাতব্বর কিছু টাকা নিয়ে ধর্ষিতার পিতাকে সামাজিক ভাবে নিস্পত্তি করার জন্য অনুরোধও করেছেন। ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও মামলা করতে পারছিলেন না ধর্ষিতার পিতা। বাধা দিচ্ছে এলাকার মাতব্বররা।পরে পুলিশের কাছ থেকে আশার বানী শুনে তিনজনকে আসামী করে বাহুবল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতার পিতা।
গত শুক্রবার ভোর ৭টার দিকে উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের স্বর্ণরেখ গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ঘরে এ ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। পরে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সে স্থানীয় একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী বয়স ১১ বছর।স্কুল ছাত্রীর ভাই সালমান জানান, গত ৬ জানুয়ারী শুক্রবার ভোর ৭টার দিকে আমার বোন বাড়ির পাশের একটি দোকানে বাপা পিঠা কেনার জন্য যায়।যাওয়ার পথে ধর্ষক স্বর্ণরেখ গ্রামের ছইবুল্লার ছেলে আতর আলী (৩৫) তাকে রাস্তায় পেয়ে শিশুটির কাছে টাকা দিয়ে বলে আমার জন্য একটি পান নিয়ে আসো।
সে পান নিয়ে আসার পর জোড় করে একটি খালি রুমে নিয়ে যায় এবং সে সহ কয়েকজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে । তার আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন দৌড়ে এলে আতর আলীসহ অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। এর পরপরই সে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবার ও স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মেয়ের বাবা রঙ্গু মিয়া জানান, সোমবার রাতে পুলিশের সহযোগিতা পেয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছি। অনেকেই অনেক প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন। আমি আমার নাবালিকা মেয়ের উপর নির্যাতনকারী কুলঙ্গারদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করি।