এম এ ওয়াহেদ লাখাই প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের লাখাইয়ে করাব ইউনিয়নের করাব গ্রামটি মৌসুমি শাকসবজি চাষের জন্য সুপরিচিত। এ গ্রামে সারা বছরই মৌসুম ভেদে নানা ধরনের শাকসবজি, ফলমূল চাষ হয়ে থাকে।ভৌগোলিক কারণে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকায় এ গ্রামের চাষীরা ধান চাষের পাশাপাশি মৌসুমি শাকসবজি চাষে বেশ আগ্রহী কৃষকগন।
শাকসব্জি চাষ বেশ লাভজনক হওয়ায় দিনদিন এর বিস্তৃতি ঘটছে।এমনই একজন সব্জি চাষি করাব গ্রামের মোঃ শাহীন মিয়া।চলতি মৌসুমে সে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি তার নিজস্ব ৬ শতাংশ জমিতে মসলা জাতীয় ফসল ধনিয়ার চাষ করেছে।চাষাবাদ ও বীজ,সার বাবদ খরচ হয়েছে ২ হাজার টাকা।
এ জমি থেকে সে ১০ হাজার টাকার মতো ধনিয়াপাতা বিক্রি করেছেন। এতে তার মুনাফা হয়েছে ৮ হাজার টাকা। এ বিষয়ে শাহীন মিয়া জানান আমি সারা বছরই কোন না কোন শাকসব্জী চাষ করে আসছি।
এতে আমি অল্প পরিমান জমিতে স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে কম সময়ের ব্যবধানে বেশ মুনাফা করতে পারছি। স্বল্পকালীন ফসলের ক্ষেত্রে জমি বারবার ব্যবহার করা যায়। এক্ষেত্রে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আমাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
প্রযোজন হলে তাদের স্মরনাপন্ন হই।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় চলতি বৎসর লাখাইয়ে মসলা জাতীয় ফসল ধনিয়া চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৬০ হেক্টর এবং ইতিমধ্যে চাষ হয়েছে ১৫ হেক্টর জমি।
শস্য নিবিরতার মাধ্যমে রোপা আমন পরবর্তী চাষাবাদের ফলে কিছুটা বিলম্ব হলেও ধনিয়ার চাষ লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবণা রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাকিল খন্দকার জানান লাখাইয়ে বর্তমানে ধান চাষের পাশাপাশি মৌসুমি শাকসবজি ও তেল এবং মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
শস্য নিবিরতা প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নিরলসভাবে ভাবে সদা সর্বদা কৃষকের পাশে রয়েছে।