এম.মুজিবুর রহমান নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে অপহরণের দুই বছর পর ফাঁদ পেতে প্রেমিক জুটিকে র্যাব ও পুলিশ গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে জামালপুর জেলার নন্দী বাজার এলাকায় আটক করেছে ।এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের নোয়াগাও গ্রামের শেখ জিয়া উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ও একই গ্রামের লন্ডন প্রবাসী শেখ আবদাল মিয়ার ১৪ বছরের কন্যা খাগাউড়া আব্দুল ওয়াহিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী রেশমা বেগমের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে গত ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রেমিক যুগল বাড়ি ছেড়ে অজানার উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মেয়ের পিতা শেখ আবদাল মিয়া বাদী হয়ে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ৬জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতে নির্দেশে থানায় মামলাটি রের্কড করা হয়। মামলা দায়েরের পর অপহৃতাকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ।
মামলার মুল আসামী আব্দুর রাজ্জাক ব্যাতিত অন্যান্য আসামীরা আদালতে আত্বসর্ম্পন করলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করেন। র্দীঘ ৬ মাস আসামীরা জেল হাজতে থাকার পরে মহামান্য হাইকোর্টের জামিনের বেড়িয়ে আসেন। এর পর থেকে হন্য হয়ে ঐ প্রেমিক জুটিকে খোঁজা হচ্ছিল কিন্তু কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।
পুলিশ ও র্যাব উন্নত প্রযুক্তি ব্যাবহার করে প্রায় দেড় বছর ছেলে মেয়েকে একাধিক বার অভিযান চালিয়ে অবশেষে ঘটনার দেড় বছর পর গত ৫ ডিসেম্বর সোমবার দিবাগত রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শফিকুর রহমান র্যাব-১৪ এর সহায়তায় জামালপুর জেলার শেরপুর এলাকায় নন্দী বাজার এলাকার জনৈক জামাল শেখের ভাড়াটিয়া বাসায় প্রেমিক অপহরণ মামলার প্রধান আসামী আব্দুর রাজ্জাক ও তার প্রেমিকা স্ত্রী রেশমা বেগমকে আটক করে নবীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসেন।
এর মধ্যে আটক প্রেমিক জুটিকে গতকাল ৬ডিসেম্বর হবিগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপহরণ মামলার প্রধান আসামী আব্দুর রাজ্জাক বলেণ রেশমা বেগম তার বিবাহিত স্ত্রী, সে রেশমাকে অপহরণ করে নাই তারা ভালোবেসে বিয়ে করেছেন।
ভিকটিম রাজ্জাকের প্রেমিকা ও স্ত্রী দাবীদার রেশমা বেগম জানায়, তার বাবা যে মামলাটি করেছেন তা সঠিক নয়, তারা একে অন্যকে ভালোবেসে পালিয়ে বিয়ে করেছেন,এটা অপহরণের ঘটনা নয় এবং এই ঘটনায় আর কেহ্ জড়িত নয়৷
। তার বাবা তার চাচাতো ভাইদের ফাঁসানোর জন্য উক্ত মামলায় ৬ জন আসামী করে মামলা করেছেন। তারা ভালোবেসে ঢাকার সাভারে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে দেড় বছর আগে বিয়ে করে জামালপুর জেলার শেরপুর এলাকায় ধর্মীয় পিতা ও বিয়ের উকিল জামাল শেখের আশ্রয়ে ছিলেন।
নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমদ নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন ছেলে মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অপহরণ মামলাটি সাজানো মনে হচ্ছে। ভিকটিম ও আসামী আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক বক্তব্য দিলেই সব কিছু পরিস্কার হয়ে যাবে।