স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জে পিটিআই সুপারের বিরুদ্ধে অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ, পুরোনো শ্রেণিকক্ষের দেওয়াল ভেঙে উন্নয়ন কাজ করা হয় হবিগঞ্জ প্রাইমারি টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) সুপারিন্টেনডেন্ট শাহজাহান কবীরের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
পুরোনো শ্রেণিকক্ষের দেওয়াল ভেঙে করেছেন উন্নয়ন কাজ। অথচ দেখিয়েছেন ইট, কংক্রিট ক্রয় করেছেন। বেঞ্চ ডেস্ক নির্মাণেও আছে অনিয়মের অভিযোগ। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এটি ঠিক হয়নি বলে নিজের ভুলও স্বীকার করেছেন পিটিআই।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। অর্থবছরের শেষ পর্যায় হওয়ায় টাকা ফেরত যাওয়ার আশঙ্কায় কাজ না করে তা বিল ভাউচার করে আটকে রাখা হয়। এরই মধ্যে সেপ্টেম্বরে পিটিআই সুপার (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে যোগদান করেন মো. শাহজাহান কবীর। তিনি যোগদানের পরই কিভাবে অবৈধ পথে টাকা কামাই করা যায় সেই টাকার খোঁজ নেন, এবং মরিয়া হয়ে ওঠেন৷
এক পর্যায়ে অফিসের কারও সঙ্গে কোনো পরামর্শ ছাড়াই তিনি নিজের ইচ্ছে মতো করে ক্ষুদ্র মেরামতের কাজ শুরু করেন। তিনি বিদ্যালয়ের পুরাতন লোহার ১১ জোড়া বেঞ্চ ও ডেস্ক মেরামত করেন। নিম্নমানের কাঠ দিয়ে ১৪ জোড়া বেঞ্চ ডেস্ক নির্মাণ করেন। অথচ নিয়মানুযায়ী কাঠের বেঞ্চ ডেস্ক বানানোর কথা নয়।
এছাড়া বিদ্যালয়ের দুটি শৌচাগারের ভিট কিছুটা উঁচু এবং যাওয়ার জন্য ভবনের পাশ দিয়ে কিছু জায়গা ঢালাই করে রাস্তা নির্মাণ করেন। এ কাজে তিনি ব্যয় দেখিয়েছেন ২ লাখ ১ হাজার টাকা। এর মধ্যে বেঞ্চ তৈরিতে ব্যয় দেখানো হয় ৯৫ হাজার টাকা। অবশিষ্ট প্রায় ১ লাখ ৬ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে শৌচাগারের ভিট উঁচু করা ও যাতায়াতের রাস্তা নির্মাণে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকরা জানান, রাস্তার জন্য সামান্য ইট ক্রয় করে ঢালাইয়ের জন্য পুরাতন শ্রেণিকক্ষের দেওয়াল ভেঙে কংক্রিট তৈরি করা হয়। অথচ কংক্রিট ক্রয় বাবদ দেখিয়েছেন ২৬ হাজার টাকা। মেরামত কাজ একটি কমিটির মাধ্যমে করার কথা থাকলেও করেননি। তবে কাজ শেষে কয়েকজনকে ডেকে এনে কমিটির সদস্য হিসেবে ব্যয় বিবরণীতে স্বাক্ষর আদায় করেন পিটিআই সুপার।
পুরাতন শ্রেণিকক্ষের দেওয়াল ভেঙে কংক্রিট তৈরির কথা স্বীকার করে পিটিআই সুপারিন্টেনডেন্ট (চলতি দায়িত্ব) মো. শাহজাহান কবীর মিডিয়াকে বলেন, ‘এটি তাঁর ভুল হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। তার বিরুদ্ধে তড়িৎ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন,সচেতন মহল৷