সাগর আহমেদ বিশেষ প্রতিনিধি: বাহুবল উপজেলার মিরপুরে মানব পাচারকারী চক্র বোপরোয়া হয়ে ওঠেছে। এ চক্রের খপ্পরে পড়ে ভোগান্তির শিকার সরলমনা লোকজন। আলমগীর নামের এক যুবক এলাকার নারীদের সৌদি আরবে পাঠানোর নামে পাসপোর্ট তৈরি ও এনআইডি কার্ড নিয়ে শুরু করেছে তুঘলকি কান্ড। সেবা প্রত্যাশীদের পাসপোর্ট প্রসেসিং এর জন্য তৈরি করে ভুয়া এনআইডি কার্ড। এতে চরম বিড়ম্বনায় পড়ছেন সেবা প্রত্যাশী ছাড়াও ভেরিফিকেশন সংশ্লিষ্টরা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের হরিপাশা গ্রামের বাসিন্দা আরজু চৌধুরী ওরফে মোঃ আরজু মিয়া তার মেয়ের এনআইডি কার্ড বানানোর জন্য একই ওয়ার্ডের স্বর্ণরেখ গ্রামের সেলিম মিয়ার পুত্র মোঃ আলমগীরের দ্বারস্থ হন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেন।
কিছুদিন পর পর এনআডি হয়েছে কি না জানতে চাইলে দেই দিচ্ছি করে কাল ক্ষেপন করতে থাকে আলমগীর।
এর কিছুদিন পর সুলতানা আক্তার নামে এক মেয়ের পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য বাহুবল থানার এসআই শাহ আলম মিরপুর আসেন এবং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ ফুল মিয়াকে সাথে নিয়ে আরজু মিয়ার বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে সুলতানা আক্তার নামে এক মেয়ের পাসপোর্টের ভেরিফিকেশন করার জন্য।
এ সময় তিনি জানতে পারেন সুলতানা আক্তার নামে আরজু মিয়ার কোন মেয়ে নাই। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে আরজু মিয়া দালাল মোঃ আলমগীরকে তার মেয়ের এনআইডি কার্ড তৈরি করার করার ব্যাখ্যা চান।
এসয় তিনি তাকে পিতা ও তার স্ত্রীকে মাতা বানিয়ে সুলতানা আকতার নামে এক মেয়ের এনআইডি কার্ড কেন বানিয়েছ প্রশ্ন করেন। ( পাসপোর্টের আবেদনের এপ্লিকেশন আইডি নং- 4109-000107147 বলে জানান। এব্যাপারে মোঃ আলমগীর বলে, এটা কোন ব্যাপার না।
অপরদিকে মোঃ আরজু মিয়া বলেন,”আমি ও আমার স্ত্রীকে পিতা মাতা বানিয়ে সুলতানা আক্তার নামের এক মেয়ের ভুয়া এনআইডি বানিয়েছে আলমগীর। এই মেয়েকে আমরা চিনিনা। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আলমগীর বিদেশে নারী গৃহকর্মী পাঠানোর কাজ করে আসছে।
এ ব্যাপারে মোঃ আরজু মিয়া বাদী হয়ে ২৪ নভেম্বর বাহুবল মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।