1. admin@notunkurisylhet.com : notun :
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নওগাঁয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের সংঘর্ষ নৌপথে চাঁদাবাজীর প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে প্রতিবাদ সভা নওগাঁর পত্নীতলাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে লোকালয়ে দুটি বানর সীমান্তে ভারতের কয়লা খনিতে কাজে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন লোকমান ২২ সাংবাদিক রবিনূর মিয়া’র বাবার ৬ষ্ঠ তম মৃত্যু বার্ষিকী আাজ নওগাঁর আত্রাইয়ের সাপের রাজা, রাজা ভাই চোরাকারবারীদের গডফাদার সীমান্তের চিহিৃত চাঁদাবাজ যুবলীগ নেতা রফ মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়ার স্বদেশ আগমন উপলক্ষে পুটিজুরীতে পথসভা অনুষ্ঠিত নওগাঁর আত্রাইয়ের বিভিন্ন অঞ্চলের মাঠ গুলো সরিষার হলুদ ফুলে’র সাঁজে সেঁজেছে জলঢাকায় অনাথ আশ্রমে জেলা প্রশাসকের শীতবস্ত্র বিতরণ

বাহুবলে নির্মানের আট বছর পরও চালু হয়নি ট্রমা সেন্টার

শাহ কুলসুমা আক্তার বাহুবল থেকে
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২
  • ১৪৪ বার পঠিত

শাহ্ কলসুমা আক্তার বাহুবল থেকে  : হবিগঞ্জের বাহুবলে নির্মাণের প্রায় আট বছর পরও চালু হয়নি জেলার একমাত্র ট্রমা সেন্টার। নির্মাণের পর দীর্ঘদিন ধরে ট্রমা সেন্টার চালু না হওয়ায় অনেক অবকাটামোই নষ্ট হয়ে গেছে। ভেঙে পড়েছে দরজা-জানালার গ্লাস।  বাকি রয়েছে পানির পাম্প বসানোর কাজও।

 

 

জানা যায়, মহাসড়কে দুর্ঘটনায় আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০১০ সালে ফিজিক্যাল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় ট্রমা সেন্টার নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে ১০ শয্যার ট্রমা সেন্টারের নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১৩ সালে। এতে ব্যয় হয় ৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে ভবনটি গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে চিঠি দেয় গণপূর্ত বিভাগ। কিন্তু গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ না থাকায় সেটি গ্রহণ করতে রাজি হয়নি স্বাস্থ্য বিভাগ।

 

 

এ নিয়ে দু’বিভাগের বেশ কয়েকবার  চিঠি চালাচালিতেই কেটে গেছে আট বছর। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেই গণপূর্ত বিভাগ একটু সরব হয়। কিছুদিন পর তা আবার ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে।

 

 

গণপূর্ত বিভাগের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের অগ্রগতি রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, পল্লীবিদ্যুতের ডিমান্ড নোটের টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ২৬ মে ২০১৪ ও ২৯ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে দুইবার তাগিদপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি অতিরিক্ত ৬ লাখ টাকা দাবি করায় হবিগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো ছাড়া আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। অন্যদিকে, ২০১৩ সালের ২৩ জুন গ্যাস সংযোগের জন্য ডিমান্ড নোট চেয়ে তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানিকে চিঠি দেন। এরপর এ সংক্রান্ত কোনো খোঁজখবর না রাখায় ইতিমধ্যে সরকার সারা দেশে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয়। ফলে  ট্রমা সেন্টারে গ্যাস সংযোগ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এভাবে চিঠি চালাচালিতেই কেটে যায় আট বছর।

 

 

জেলার মাধবপুর থেকে নবীগঞ্জের শেষ সীমানা শেরপুর পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। আর এ সড়কে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনায় আহত বা হাত-পা ভেঙে প্রতিনিয়ত সিলেট অথবা ঢাকায় যেতে হয় রোগীদের। কিন্তু অনেকেই টাকা-পয়সার সমস্যার কারণে যেতে পারে না। ফলে পায় না উন্নত চিকিৎসা। এখন যদি বাহুবলে ট্রমা সেন্টারটি চালু হয় তা হলে অন্তত ভালো চিকিৎসা তো পাওয়া যাবে।

 

হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নূরুল হকের মোবাইলে (০১৭১১-০২৬৪৭৪) ফোন দিলে বন্ধ পকওয়া যায়।

 

এ ব্যাপারে বাহুবল উপজেলার ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বাবুল কুমার দাস জানান, ট্রমা সেন্টারের ব্যাপারে সিভিল সার্জন স্যার ভাল জানেন।

 

হবিগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন মোবাইল (০১৭৫৪-২০৫০২৫) ফোনে কল দিলে ফোন রিসিভ করেননি।

 

 

এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2024
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: FT It Hosting