আকিকুর রহমান রুমনঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচং পূজা উদযাপন পরিষদ কমিটির সভাপতি বাদল ভট্টাচার্য পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগের পর পরই তার বিরুদ্ধে আর্থিক নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
তবে বাদল ভট্টাচার্য ব্যাক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন এবং আর্থিক অনিয়মের বিষয় অস্বীকার করেছেন।
সূত্রে জানা যায়,৮ নভেম্বর মংগলবার পূজা উদযাপন পরিষদ হবিগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক বরাবরে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
বাদল ভট্টাচার্য বানিয়াচং উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি হওয়ার পর থেকে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে সাধারণ সম্পাদক ও কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ কে পাশ কাটিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থ বছরের ২৮ হাজার ৫ শ করে মোট ৫৭ হাজার টাকার মধ্যে মোট ৩৫ হাজার টাকা খরচ করলে ও অবশিষ্ট টাকার হিসাব দেন নাই।
উপজেলার দুজন ব্রাহ্মণ কে মাসে ৭শ টাকার ভাতা প্রধান করার জন্য মনোনয়ন প্রক্রিয়া তিনি একা একাই করে থাকেন।
৮ নং ও ৯ নং ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদ কমিটি গঠন করতে একক সিদ্ধান্তে কমিটি গঠন করার কারণে সাধারণ সম্পাদক মাধব দেবের সাথে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়াও সাম্প্রতিককালে শ্রী শ্রী জয়কালী বাড়ি পরিচালনা কমিটি গঠন করার সময় তার পছন্দের লোক বাদ পড়ায় সে পদত্যাগ করেছে।
এছাড়াও বুড়াশিব বাড়ি পরিচালনা কমিটিতে সে দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত একক কর্তৃত্বে পরিচালনা করছে।
কমিটি গঠন করতে গেলেই বাদল ভট্টাচার্য মারদাঙ্গা তৈরি করেন বলে ও অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে বাদল ভট্টাচার্য’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমি পদত্যাগপত্র জেলা কমিটির নিকট জমা দিয়েছি।
তবে আমি কোন আর্থিক অনিয়ম করি নাই।
কেউ চাইলে আমি যেকোনো সময় হিসাব দিতে পারবো বলে জানান।
এছাড়াও বানিয়াচং পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাদল ভট্টাচার্য’র পদত্যাগের ব্যাপারে সর্বশেষ বক্তব্য জানতে হবিগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শঙশুভ্র রায়ের সাথে রাত ১০টা ২৪মিনিটে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,এব্যাপারে বাদল ভট্টাচার্য তাদের কমিটির নিকট একটি চিঠি দিয়ে গেছেন।
এবং তিনি ওই কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ সবাইকে ডেকে নিয়ে বসবেন এবং ৩/৪দিনের ভিতরে এব্যাপারে জেলা থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন।