1. admin@notunkurisylhet.com : notun :
রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বাহুবলে চা শ্রমিকদের মাঝে কম্বল বিতরণ করলেন আব্দুর রউফ বাহার শান্তিগঞ্জে মহাসিং নদীর ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে তাহিয়া ইটভাটায় মাটি বিক্রির অভিযোগ বাহুবলের বিধান ড্রাইভারের পরলোকগমন হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে আহলে সুন্নাত উলামা পরিষদের সীরাতুন্নবী সা.মহাসম্মেলনে ধর্ম উপদেষ্টা সুনামগঞ্জ বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট বাজারে ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জে ডিবি পুলিশ কর্তৃক বিদেশি মদসহ ৩ মাদক কারবারি গ্রেফতার বিশ্বম্ভরপুরে বিজিবি’র সহযোগিতায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ। আত্রাইয়ে অফসোনিন ফার্মা লিমিটেড এর উদ্যোগে এক দিনের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নওগাঁয় এক বছর ধরে গাঁজার গাছ পরিচর্যা, অতঃপর আটক আত্রাইয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এক কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু

বানিয়াচং সুফিয়া মতিন মহিলা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের নিকট অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের সংবাদ প্রকাশে সাক্ষর রেখে এডমিট প্রদান” অতিরিক্ত ফেরত দাবী অন্যান্য শিক্ষার্থীদের

আতিকুর রহমান রুমন
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২২
  • ১২৬ বার পঠিত

আকিকুর রহমান রুমনঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে

অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে জাতীয় দৈনিক দেশবাংলা পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয় কলেজ অধ্যক্ষের।

 

৩রা নভেম্বর বৃহস্পতিবার বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মা সিংহার আশ্বাসে কলেজে শিক্ষার্থীরা সকালে কলেজে যাওয়ার পর কলেজ কতৃপক্ষ তাদের হাতে একটি অঙ্গীকারনামা ধরিয়ে দেন।

 

এবং তাদেরকে এই অঙ্গীরনামায় দস্তখত করলে বিনা টাকায় এডমিট কার্ড প্রদান করা হবে বলেও জানানো হয়।

এক প্রকার অসহায় ছাত্রীরা জিম্মি হয়ে এবং নিরুপায় অবস্থায় সাক্ষর প্রদান করে কার্ডটি নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে তারা জানান।

 

কলেজ কতৃপক্ষের হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয় সচেতন মহলে।

 

অনেকেই তাদের এহেন কাজে শাক দিয়ে মাছ ডাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও মন্তব্য প্রকাশ করতে শুনা যাচ্ছে।

 

অন্যদিকে এই বিষয়টি কলেজের অন্যান্য পরিক্ষার্থীদের মধ্যে জানাজানি হয়ে পড়লে,তারা তাদের ১হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য দাবী জানান কলেজ কতৃপক্ষসহ সংবাদকর্মী ভাইদের নিকট।

 

তাদের দাবী যদি এখন সবাইকে এভাবে সাক্ষর রেখে পরীক্ষার এডমিট দেওয়া হয় তাহলে তাদের কাছ থেকে কেনো ১হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে।

 

এবং টাকা নিয়ে তাদেরকে এডমিট কার্ড দেওয়া হলো।

তারা বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দাবী জানিয়ে বলেন,তিনি যেন সু-দৃষ্টি দিয়ে বিষয়টি সমাধান করে তাদের টাকা গুলো ফেরত দেওয়ার ব্যবস্হা করেন।

 

অন্য এক অনুসন্ধানে দেখাযায়,প্রতিটি কলেজে ভর্তী বাবাত ১৮০০শত টাকা হলেও এই কলেজে এসব পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩৬০০টাকা করে নেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও যারা সরকারি ভাবে কলেজ থেকে যাদেরকে বৃত্তির টাকা প্রদান করা হয়।

 

তাদের কাছ থেকে মাসিক হাফ বেতন নেওয়ার কথা থাকলেও এবার কলেজ কতৃপক্ষ কোন নিয়ম নিতীর তোয়াক্কা না করে এসব অসহায় ছাত্রীদের কাছ থেকে পুরো বেতন টাকা আদায় করারও অভিযোগ রয়েছে।

তারা এসব অনিয়ম দূর্নিতী বন্ধ করার জন্য শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ম্যানেজিং কমিটির হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

 

উল্লেখ্য,গতকাল ২রা নভেম্বর বুধবার বানিয়াচং উপজেলার সুফিয়া মতিন মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ সুলতান আহমেদ ভূইয়ার বিরোদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে শিক্ষার্থীরা স্ব-শরীর হাজির হয়ে অভিযোগ করে জানান।

ওই অধ্যক্ষ অতিরিক্ত ক্লাসের জন্য ১ হাজার টাকা করে অর্থ আদায়ের জন্য পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আটক করে দেন।এই বিষয়টি মানতে না পেরে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ জানান।

 

এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রতিষ্টানটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদ্মাসন সিংহ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মৌখিক অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে তাদের হাতে প্রবেশপত্র তুলে দেওয়ার জন্য অধ্যক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেন।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশ পেয়েও অধ্যক্ষ পরীক্ষার্থীদের হাতে প্রবেশপত্র তুলে দেন নাই।সূত্রে জানা যায়, আগামী ৬ নভেম্বর এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্টিত হইবে।

 

বানিয়াচং উপজেলার সুফিয়া মতিন মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবেন ৩শ ৩৩জন শিক্ষার্থী। ৬ নভেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের বেতন পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে।অথচ আগস্ট মাস থেকে নিয়মিত ক্লাস বন্ধ রয়েছে।

 

কলেজ থেকে কোচিংয়ের জন্য ১ হাজার করে টাকা ধার্য্য করা হলেও কোন অতিরিক্ত ক্লাস না করালেও প্রবেশপত্র আনার জন্য কলেজে উপস্থিত হয়ে পরীক্ষার্থীরা জানতে পারেন অতিরিক্ত ক্লাসের জন্য অতিরিক্তভাবে ১ হাজার করে টাকা দিতে হবে।যারা অতিরিক্ত ১ হাজার টাকা না দিতে পারবে তারা প্রবেশপত্র পাবেন না বলে অধ্যক্ষ সুলতান আহমে ভূইয়া নির্দেশ প্রদান করেছেন। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে অবহিত না করেই অধ্যক্ষ এরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানা যায়।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী জানান,আমাদের পরিবারে ঠিকমত খাবারই পায়না পরিবারের লোকজন।অতিরিক্ত ১ হাজার টাকা আমি কিভাবে দিব আমার জানা নাই।অন্য আরেক শিক্ষার্থী জানান,আমাদের কোচিং বাধ্যমূলক না।

 

এছাড়াও আমাদের পরীক্ষা আরও আগেই হওয়ার কথা ছিল। তবুও আমরা ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বেতন দিয়েছি। আমাদের ক্লাস বন্ধ রয়েছে আগস্ট মাস থেকে।আমাদেরকে কোন রকম অতিরিক্ত ক্লাস করানো হয় নাই।

 

এ ব্যাপারে সুফিয়া মতিন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সুলতান আহমেদ ভূইয়ার সাথে মুঠোফোনে য়োগাযোগ করার জন্য বারাবর ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।

 

এ ব্যাপরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদ্মাসন সিংহ বলেন,এই বিষয়টি পরীক্ষাথীরা আমাকে জানিয়েছেন।

 

পরে আমি অধ্যক্ষকে কোন টাকা ছাড়াই প্রবেশপত্র দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।

 

এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2024
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: FT It Hosting