নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা থেকে দুই দালালসহ ৭ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) ভোর রাতে আটকৃতদের উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন থেকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এর আগে, গতকাল সোমবার রাত ১০টার হাতিয়ার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে পালানোর সময় সুবর্ণচরের মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চরমাকছুমুল গ্রাম থেকে স্থানীয়রা তাদের আটক করে।
আটকৃতরা দালালরা হলো- মো.নুর আমিন (৫০) ও মো.ইউসুফ (১৪)। তারা সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। আর আটককৃত রোহিঙ্গারা হলেন, ভাসানচর আশ্রয়ণের ১২ নং ক্লাস্টারের নুরুল হাকিম (২৬) ৮১নং ক্লাস্টারের মো.আলম (২৪) ৮৭ নং ক্লাস্টারের মো.অলি আছান (২৭) সোনা মেহের (১৮) ইয়াছমিন (১০ মাস) ফিরোজা (২২ বাক প্রতিবন্ধী) ও মো. একরাম (১৪ মাস)।
জানা যায়, গত ৩০ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে নৌকা যোগে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দালাল নুর আমিন রোহিঙ্গাদের নিয়ে রওয়ানা দেয়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চরমাকছুমুল গ্রামের কামাল বাজারে এসে পৌঁছায়।
রাত ১০টার দিকে স্থানীয় লোকজন রোহিঙ্গাদের চলাফেরা দেখে সন্দেহ হলে রোহিঙ্গা নাগরিক বুঝতে পেরে দালাল নুর আমিন এবং মো.ইউসুফসহ ৭ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাছে হস্তান্তর করে। খবর পেয়ে পুলিশ মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে আটককৃতদের থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও রোহিঙ্গাদের ভাষ্যমতে, দালাল নুর আমিন ভাসানচরে মাছের ব্যাবসা করে। সেই সুবাদে আটককৃত রোহিঙ্গাদের সাথে দালাল নুর আমিনের কিছু দিন আগে পরিচয় হয়।
পরিচয়ের এক পর্যায়ে রোহিঙ্গারা পালানোর পথ খুঁজলে দালাল নুর আমিন তাদের আশ্বস্ত করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে নিয়ে ব্রিক ফিল্ডের কাজ দেওয়ার। এ প্রলোভন দেখিয়ে ২০ হাজার টাকা করে আদায় করে।
চরজব্বর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.জয়নাল আবেদীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে টাকা নিয়ে ব্রিক ফিল্ডে কাজ দেওয়ার কথা বলে রোহিঙ্গা নাগরিক পাচারের অভিযোগ নাকচ করে দেন তিনি।