স্টাফ রিপোর্টারঃ বাহুবলে দুই বাচ্চার মাকে চুরি করে নিয়ে গেছে একদল চোর।মেম্বার ও জনতার হাতে আটক হওয়ার পর ইউনিয়ন অফিসের হাওলা করা হয় তাকে। ভোর রাতে ৩জন পাহারাদার রেখে ইউনিয়ন অফিস থেকে পালিয়ে যায় আটক চোর। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার উপজেলার ২নং পুটিজুরী ইউনিয়নের রাজসূরত গ্রামে।
জানা যায়,গত বুধবার রাত ৮ টার দিকে পুটিজুরী ইউনিয়নের রাজসূরত গ্রামের হাজী আব্দুল মজিদের একটি ছাগল ২টি বাচ্চা রেখে চুরি করে নিয়ে যায় একদল চোর।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুটিজুরী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আকলাছ মিয়া গত শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে স্থানীয় চকসুখচর গ্রামের মৃত ছগীর মিয়ার ভাগ্না ( হবিগঞ্জের বৌলা গ্রামের বাসিন্দা) আহাম্মদ আলীকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়।
পরে আহম্মদ আলীর স্বীকারোক্তিতে উপজেলার ৩নং সাতকাপন ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের ছাগল ব্যাবসায়ী আজমান আলীর বাড়ি থেকে ছাগলটি উদ্ধার করা হয়।
পরে ইউনিয়ন অফিসে আটককৃত আহম্মদ আলী এ ঘটনায় জড়িত আরও ২ জনের নাম প্রকাশ করে বলে জানান মেম্বার আকলাছ মিয়া ও স্থানীয়রা।পরবর্তীতে আটক চোরকে পুটিজুরী ইউনিয়ন অফিসে এনে আটক রাখা হলে ভোর রাতে ৩ জন পাহারাদারের চোখ ফাকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে পুটিজুরী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ মুদ্দত আলী বলেন, আমি ঘটনাটি জেনেছি, তবে ঘুম থেকে ওঠার আগেই আটককৃত চোর পালিয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছি। তবে চোর পালিয়ে গেলেও এ ঘটনায় যারা জড়িত সবটাকে আটক করতে আমার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে পুটিজুরী ইউপি অফিসের দায়িত্বে থাকা গ্রাম পুলিশ আব্দুল মনাফ জানান, পরিষদের দফাদার নূরুল ইসলাম,গ্রাম পুলিশ বসির মিয়া ও আমি আটক চোরকে পাহারার দায়িত্বে ছিলাম।
ভোর রাতে আমাদের চোখে সামান্য ঘুম চলে আসে ওই ফাকে আটক চোর পালিয়ে যায়। ঘুম ভাঙ্গার পর অফিসে বাধা চোরকে দেখতে না পেয়ে অনেক অনেক খোজাখোজির পর তাকে কোথাও না পেয়ে ভোরেই আমার পুটিজুরী ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকেে অবগত করেছি।
এ ঘটনায় পুটিজুরী এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।