বাহুবল প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের বাহুবলে পারিবারিক সংঘর্ষে একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলার সাতকাপন ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামে।
জানা যায়, বাহুবল উপজেলার ৩নং সাতকাপন ইউনিয়নের সংকরপুর গ্রামের মৃত চমক মিয়া চৌধুরীর ছেলে সোয়েব আহমেদ চৌধুরীর দীর্ঘদিন যাবৎ চাচা সিজিল মিয়া চৌধুরী ও তার পরিবারের সাথে বিরোধ চলে আসছিলো।
এ বিরোধকে কেন্দ্র করে সোয়েব আহমেদ চৌধুরী বাহুবল হামিদনগর ডিএনআই সরকারি মডেল হাইস্কুলের সামনে চাচী ও চাচাতো ভাইকে ছুরিকাঘাতে করেন।
এ ঘটনায় চাচা ও চাচীর মামলায় সোয়েব আহমেদ চৌধুরী(২৬) দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন।এর কয়েক মাস পর থেকে সোয়েব চৌধুরীর চাচা সিজিল মিয়া চৌধুরী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পড়েন।সিজিল মিয়া দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে গত সাপ্তাহে গ্রামের বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।
সিজিল মিয়া চৌধুরীর মৃত্যুর পর স্ত্রী অন্দরমহলে রয়েছেন,
এলাকার বাসিন্দারা জানান, স্বামীর মৃত্যুর স্ত্রী ৪০ দিন পর্যন্ত অন্দরমহলে থাকতে হয়।
মঙ্গলবার বিকাল প্রায় ৪ টার দিকে সোয়েব আহমেদ চৌধুরী সংকরপুর গ্রামে তার নিজ বাড়িতে যান।
সেখানে যাওয়ার পর চাচাতো ভাই ও স্কুল ছাত্রী চাচাতো বোনের সাথে পূর্ব বিরোধের জের ধরে সোয়েব চৌধুরীর বাক-বিতন্ডা শুরু হয়।একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সোয়েব আহমেদ চৌধুরী সহ ৪ জন আহত হয়।
এর মধ্যে সোয়েব চৌধুরী গুরুতর আহত হলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে সোয়েব আহমেদ চৌধুরী(২৬)কে উদ্ধার করে বাহুবল হাসপাতালে নিয়ে আসলে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সন্ধ্যায় সিলেট ওসমানী মেডিকেলে সোয়েব আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যু হয়।
এব্যাপারে বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রকিবুল ইসলাম খান ও ইন্সপেক্টর তদন্ত প্রতিজ কুমার দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা সোয়েব চৌধুরীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আমরা ঘটনাস্থলে আছি আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।