হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান এর বিরুদ্ধে আনীত অনাস্থা প্রস্তাবের সকল কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা আসছে বলে মহামান্য হাইকোর্টের এক বিজ্ঞ কৌশলী জানিয়েছেন।
বিজ্ঞ কৌশলী সুত্রে জানা গেছে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান কর্তৃক দায়েরকৃত এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৪ মাসের জন্য মহামান্য হাইকোর্টের বেঞ্চ সকল কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনার আদেশ জারি করেন।
পরবর্তীতে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ৬ ইউপি চেয়ারম্যান ওই আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন এর প্রেক্ষিতে এক আদেশ জারি করা হয়।
উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান আবারো অনাস্থা প্রস্তাবের সকল কার্যক্রম বন্ধের আদেশ পুর্নবহালের জন্য এক রিট আবেদন করেন।
রিট আবেদনটি শুনানি শেষে আদেশের জন্য ১ সেপ্টেম্বর ধার্য্য করা হয়েছে। এ তথ্য জানিয়ে আদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষই কোন কার্যক্রম গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে বিজ্ঞ কৌশলী তাঁর চেম্বারের প্যাডে এক পত্র প্রেরণ করেছেন।
এ দিকে অনাস্থা প্রস্তাবের কার্যক্রমের ব্যাপারে জানতে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার রাজস্ব এর ভুমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন তদন্ত কারী কর্মকর্তা রহস্য জনক ভাবে ২৮ মে অনুষ্ঠিত তদন্তে আমার বিরুদ্ধে দালিলিক প্রমাণ না পাওয়ার পরও উপজেলা পরিষদের বিশেষ সভা আহবান করেন।
আমি তড়িঘড়ি করে সভা আহবান করায় নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্ধিহান। শুধু তাই নয় তিনি তাঁর তদন্ত কালীন হাজিরার গোপনীয় কপি ফাঁস করে অনাস্থা প্রস্তাব কারীদের হাতে সরবরাহ করে নিরপেক্ষতা প্রশ্ন বিদ্ধ করেছেন। অনাস্থা প্রস্তাব কারীরা এ কপির মাধ্যমে তৈরি করা এক জালজালিয়াতি ডকুমেন্ট দেখিয়ে মহামান্য হাইকোর্টের মাননীয় বিচারকবৃন্দকে বিব্রত করেন।
জালজালিয়াতি জন্য তাদের বিরুদ্ধে আমি আইনী ব্যবস্হা গ্রহন করবো। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মহামান্য হাইকোর্টকে সম্মান প্রদর্শন করা একান্ত প্রয়োজন।