বাহুবল প্রতিনিধি: বাহুবল উপজেলার করাঙ্গী নদীর একাধিক ভাঙ্গনে তলিয়ে গেছে ফসলের মাঠ। বাহুবল সদর ও ভাদেশ্বর ইউনিয়নের ফসলের মাঠ ছাড়াও তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট। এতে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। হাট -বাজারে পানি সাতরিয়ে যেতে হচ্ছে এসব এলাকার বাসিন্দাদের।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ও প্রবল বৃষ্টিতে বন্যার সৃস্টি হয় করাঙ্গী নদীতে। বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত পানি স্রোতে ভাদেশ্বর ইউনিয়নের দুইটি স্থানে সৃষ্টি হয় ভাঙ্গন। এতে ৫ শতাধিক একর জমির কাচা ও আধাপাকা ধান তলিয়ে গেছে বানের পানিতে। বিনষ্ট হয়েছে অনেক মৌসুমী ফসল। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে রাস্তাঘাট ও কাচা ঘর বাড়ির।
এমনকি মজবুত প্রতিরক্ষা বাধ না থাকার কারণে বিভিন্ন ফসল বিনষ্ট ছাড়াও চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের গোলগাও এবং ইসলামপুর গ্রামের পাশে দুইটি স্থানে ভাঙ্গন দিয়েছে। এব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দারা সময় মতো নদীর ঝুকিপূর্ণ স্থান মেরামত না করায় উজানের পানিতে বাধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। অনেকে জানান, দুই মাস আগে গোলগাও এবং ইসলামপুরে বাঁধে ভাঙ্গন হয়। কিন্তু যথ সময়ে মেরামত করা হয়নি।
তবে ভাদেশ্বর ইউনিয়নের স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ফরিদ মিয়া জানান, আগের ভাঙ্গনস্থল গোলাগাও অংশসহ তিনটি ভাঙ্গা সরকারি বরাদ্দে বালু মাটির বস্তা দিয়ে মেরামত করা হয়। কিন্তু ইসলামপুরের ভাঙ্গনটি মেরামতের জন্য পরিষদে উত্থাপন করেছি। তবুও কোনও বরাদ্দ পাইনি। যার কারণে উক্ত ভাঙ্গন মেরামত করা সম্ভব হয়নি।
ভাদেশ্বর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শ্রী কুমার কৈরি জানান, ভাঙ্গনের বিষয়টি শুনেছি। চেয়ারম্যান সাব দেশে আসলে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ইউএনও মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করলে জরুরিভাবে কাজ হতে পারে।