নতুন কুড়িঁ নিউজঃ গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে কুয়াকাটায় ঘুরতে যাওয়ার পথে বরিশাল উজিরপুর এলাকায় বাস ও মাইক্রোবসের সংঘর্ষে নিহত ৬ জনের জানাজা একত্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১১ নং ওয়ার্ডে খাজা মার্কেট একাকায় এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তাদের জানাজায় গাজীপুরের সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। জানাজা নামাজ শেষে যার যার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহতরা হলেন, গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী জয়েরটেক খাজামার্কেট এলাকার উজিরুল ইসলামের ছেলে রুহুল আমিন (৪২), হাজী জব্বার এর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৩), মোহাম্মদ রহা মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম ঠান্ডু (৫৪), হাসেন মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান (৪৫), আব্দুর রহমানের ছেলে হারুন বাদশা (৪০), ও আহাকী নদীর পার এলাকার তমিজউদ্দিনের ছেলে হাসান সরকার (৩৬)।
ভ্রমণসঙ্গী হাশেম জানান, পদ্মাসেতু ও কুয়াকাটা ভ্রমনের উদ্দেশ্য গতকাল সকাল ৬ টার দিকে রওনা হয়। দুটি মাইক্সোবাসে মোট ২৩ জন ছিলাম। তিনি জানান ওই গাড়িতে মোট ১০ জন ছিলেন। তারমধ্য ৬ জন মারা গেছে বাকি চারজন আহত হয়েছে।
আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদিকে তাদের মৃত্যুতে শোকে কাতর পুরো এলাকার মানুষ। পুরে এলাকায় বাতাস যেন ভারী হয়ে আসছে।
নিহত হারুনের মা কান্তে কান্তে অজ্ঞান হয়ে পরছেন। ছেলে ফেরার অপেক্ষায় গর্বধারিনী মা পথ চেয়ে আছেন। এদিকে আহাকী এলাকায় নিহত হাসানের তিন বছরের সন্তান এখনো বুজতেই পারছেনা তাদের বাবা আর নেই।
তারা দুই ভাইবোন এখনো জানে তাদের বাবা মজা নিয়ে আসবে। কিন্তু অবুঝ শিশু দুইটি জানেইনা তাদের বাবা আর কোনদিন ফিরে আসবেনা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড.আজমত উল্লাহ খান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শওকত হোসেন সরকার।
এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানাজায় উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের নতুন শিকারপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।