নতুন কুড়িঁ নিউজঃ হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটেকি গ্রাম প্রকাশিত পাল পাড়য় সরকারি খাস খতিয়ানে শ্মশানের জায়গা ও মালিকানা জায়গা নিয়ে কয়েকটি হিন্দু ও মুসলিম পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিলো।
সোমবার ১৮ জুলাই দুপুরে সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোঃ রুহুল আমিনের নেতৃত্বে সার্ভেয়ার ও থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন তিনি।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার নজরুল ইসলাম রানু ও এলাকার বিশিষ্ট ময়মুরুব্বিদের উপস্থিতিতে সরকারি খাস খতিয়ানের ৩৬ শত ভূমি উদ্ধার ও সীমানা নির্ধারণ করা হয়।
এসময় সকলের উপস্থিতিতে সরকারি খাস ভূমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ নিষ্পত্তি ও সীমানাপ্রচীর নির্ধারণ করে পিলার স্থাপন করা হয়।
জানা যায়, বাহুবল উপজেলার ৭নং ভাদেশ্বর ইউনিয়নের সুন্দ্রাটেকি গ্রামের প্রবাসী এখলাছ মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ হনুফা বেগম ও প্রতিবেশী মৃত সুনীল পালের ছেলে অজয় পালের মধ্যে শ্মশান ও মালিকানা জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ধরে বিরোধ চলে আসছিলো।
এ বিরোধের জের ধরে গত ২২শে মার্চ হনুফা বেগম ও অজয় পালের পক্ষ নিয়ে কয়েকটি হিন্দু ও মুসলিম পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়।
সোমবার দুপুরে সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোঃ রুহুল আমিন,সার্ভেয়ার মোঃ মীর শাহীন মিয়া, বাহুবল মডেল থানার এস আই ইসমাঈল হোসেনকে সাথে নিয়ে ওই বিরোধীয় জায়গায় উপস্থিত হন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার নজরুল ইসলাম রানু ও হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিহার রঞ্জন দেব পুটিজুরী ইউনিয়ন সম্পাদক বাসু দেব গড়াইত, বাহুবল উপজেলা মানবাধিকার সভাপতি হাসিনা আক্তার শরিফা,ও এলাকার মুরুব্বি আঃ আলী, দিদার আলী,আবরু মিয়া সহ এলাকার বিশিষ্ট ময়মুরুব্বিয়ান।
সহকারী কমিশনার(ভূমি)সরকারি খাস খতিয়ানের ৩৬ শত ভূমি উদ্ধারের মধ্যে দিয়ে তাদের দীর্ঘদিনের বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয় এবং সকলের উপস্থিতিতে সরকারি খাস খতিয়ানের ৩৬ শত ভূমির সীমানাপ্রচীর নির্ধারণ করে পিলার স্থাপন করা হয়।
এব্যাপারে সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোঃ রুহুল আমিন বলেন, উপজেলার সুন্দ্রাটেকি গ্রাম প্রকাশিত পালপাড়ায় কয়েকটি হিন্দু ও মুসলিম পরিবারের মধ্যে সরকারি খাস খতিয়ানের জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ধরে বিরোধ চলে আসছিলো,সোমবার দুপুরে সেখানে গিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ও এলাকার বিশিষ্ট ময়মুরুব্বিদের উপস্থিতিতে সরকারি খাস খতিয়ানের ৩৬ শত ভূমি উদ্ধার ও সীমানা নির্ধারণ করা হয়।
এসময় সকলের উপস্থিতিতে সীমানাপ্রচীরে পিলার স্থাপন করে তাদের দীর্ঘদিনের বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে হনুফা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।