এম. মুজিবুর রহমানঃ নবীগঞ্জ থেকেঃ হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার অত্যন্ত জনবহুল গ্রামীণ জনপদ, উত্তর পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা আউশকান্দি, দীঘলবাক ইউনিয়ন।
উক্ত আউশকান্দি ইউনিয়নের আউশকান্দি (হীরাগঞ্জ) বাজার হইতে উত্তর দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অতিক্রম করে প্রায় ৪ কিঃ মিটার পাকা রাস্তা রয়েছে এবং তৎকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের সাবেক সফল অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া এই রাস্তাটির পাকা করনের কাজ শুভ উদ্বোধন করায় এলাকাবাসী সাবেক অর্থমন্ত্রীকে সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাতে সড়কটিকে কিবরিয়া রোড হিসেবে নাম করণ করেন৷
এদিকে প্রায় ৪ বছর পূর্বে সড়কটির কার্পেটিং উটে গেলে এলজিইডির মাধ্যমে নামে মাত্র লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়করে সংস্কার কাজ করেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান৷
এতে কিছু দিন যেতে না যেতেই আবারো কার্পেটিং উঠে গিয়ে যেন রাস্তাটি যেই সেই হয়ে বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়৷
এই রাস্তার বেহাল দশার কারনে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন আউশকান্দি ইউনিয়ন ও দীঘলবাক ইউনিয়ন সহ কয়েকটি ইউনিয়নের বাসিন্দারা৷ বেশ কয়েক বছর ধরে রাস্তাটি যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে অনুপযোগী হওয়ায় অতিরিক্ত ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের, দেখা দেয় চরম দূর্ভোগ । গাড়িচালক, পথচারীরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে কয়েকবার রাস্তা সংস্কারের কাজ করছে অনেক বছর ধরে। কিন্তু এবার সেই উপায়ও ও এতটাকা ব্যক্তি উদ্যোগে খরছ করার ক্ষমতাও নেই কারো।
তার উপর ঘন বৃষ্টিতে পুরো সড়কে ভাঙ্গায় গভীর গর্তের সৃস্টি হয়ে যানচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
শুধু গাড়ি চালক নয়,পথচারীদের জন্যও দুর্বোধ্য হয়ে উঠছে এ রাস্তাটি ।
এলাকার দেওতৈল, দরবেশ পুর, রঘু দাউদপুর,দাউদপুর, বোয়ালজুর,কারখানা ও বহরমপুর গ্রাম সহ উক্ত এলাকার কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন।অনেক মানুষের জীবিকা নির্ভর করে এ রাস্তার উপর।
কিন্তু রাস্তার এ বেহাল দশায় হবিগঞ্জ জেলা ও উপজেলার সাথে সড়কপথে যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
বিশেষ করে স্কুল, কলেজ,মাদরাসায় পড়ুয়া কোমলমতি ছাত্র/ছাত্রী ও রোগীদের যাতায়াতে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷
সি,এনজি,অটোরিকশা চালক আল আমীন বলেন, রাস্তায় গাড়ি চালাইয়া আর খাইতে পারমুনা মনে হয়।অন্য কাম খোঁজতে হইবো।নাইলে না খাইয়া মরমু,কারন এ রাস্তায় গাড়ি লইয়া নামলে বাড়ি ফিরতে পারমু কিনা তারও গ্যারান্টি নাই।
স্থানীয় বাসিন্দা কউছর মিয়া বলেন আমরা পুরোপুরি অসহায়, আমরা দীর্ঘদিন ধরে শুনতেছি এ রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কোনো এক অজানা কারনে হয়তো শুরু হচ্ছে না,যদিও বর্তমান সরকার রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করছে কিন্তু আমাদের দূর্ভাগ্য,রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়ত করে, প্রায়ই অনেক মালবাহী পিকআপ, সিএনজি, অটোরিকশাসহ আরো অনেক গাড়ি যাতায়াত করে এ রাস্তাটি দিয়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা তকবির মিয়া বলেন,
জানিনা ঠিক কতদিন আমাদের মতো মানুষদের এ ভোগান্তি আরো সহ্য করতে হবে।
এ বিষয়ে এলজি ইডির উপজেলা প্রকৌশলী ছাব্বির আহমেদ এর সাথে এলাকাবাসী একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই, নিচ্ছি বলে অনেক খামখেয়ালিপনা করছেন বলেও এলাকাসী অভিযোগ করেন৷
এ বিষয়ে উপজেলা এল,জি ইডি’র প্রকৌশলী ছাব্বির আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি আমাদের অফিসের লোক পাঠাবো এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে৷
এদিকে এলাকাবাসী অনেকেই এ রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন আজ পৃথিবীতে কিবরিয়া সাহেব নেই বলে রাস্তাটির জন্য আমরা এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে৷ এই রাস্তাটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও জনপ্রতিনিধি কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই৷ এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী৷