1. admin@notunkurisylhet.com : notun :
রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পুলিশের চাকরী নিতে কোটায় বাবা হলেন নি:সন্তান চাচা তাহিরপুরে নানা আয়োজনে প্রতিবন্ধী দিবস পালিত নওগাঁতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩ আত্রাইকে মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিমুক্ত উপজেলা গড়তে চান ওসি সাহাবুদ্দীন যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষায় চান্সপ্রাপ্তদের নিয়ে প্রি-ডিপার্চার সেশন অনুষ্ঠিত পাইকগাছার কপিলমুনিতে বিএনপি ও সহযোগীসংগঠনের আনন্দ মিছিল জিয়া প্রজন্ম দলের আহবায়ক কমিটি গঠন ট্রেনে নিচে কাটা পরে বাবা মেয়ের মৃত্যু হাকালুকি ভিউ ও এপেক্স ক্লাব অব জুড়ী ভ্যালী’র বন্যায় ক্ষতিগ্রস্হ ১২ পরিবারের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ মাদক সম্রাট রাসেল’কে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ আটক করে বর্ডার গার্ড বিজিবি

বাহুবলের খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী

বাহুবল প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৩ জুন, ২০২২
  • ১৭৮ বার পঠিত

বাহুবল প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার বশীনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবনের অভাবে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে খোলা আকাশের নিচে। স্কুল চলাকালীন সময়ে ঝড়-বৃষ্টি আসলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই আশ্রয় নেন।

 

১০ বছর আগে বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও আজো নতুন ভবন নির্মিত হয়নি। ফলে ভবনের অভাবে দিন দিন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। বাধ্য হয়ে এলাকার শিক্ষার্থীরা কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছে।

 

গত বৃহস্পতিবার (২ জুন) সরেজমিন অনুসন্ধানে এ দৃশ্য দেখা যায়। জানা যায় উপজেলার ৮৬নং বশীনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৮৮ সালে বসীনা গ্রামের মরহুম মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হোসেনের বাবা মরহুম শামছুল হোসেনের দানকৃত ৩৩ শতক জমিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৪ সালে স্কুলটি সরকারি স্বীকৃতি লাভ করে।

 

এ সময় এলজিইডির তত্ত্বাবধানে সরকার ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৪ কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মাণ করে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দায়সারা ভাবে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার ফলে কিছুদিন যেতে না যেতেই ভবনের বিভিন্ন স্হানে ফাটল দেখা দেয়।

 

এ অবস্থায় জরাজীর্ণ ভবনে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান চলে।

 

পরে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এলে ২০১২ সালে উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর থেকে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে ভবনের অভাবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

 

২০১৩ সালে বিদ্যালয়টিকে জাতীয়করণ করা হয়। জাতীয়করণের পর বর্ষা মৌসুমে পার্শ্ববর্তী মক্তব ঘরে আর শুকনো মৌসুমে খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চালু রয়েছে।

 

২০১৫ সালে উপজেলা পরিষদ থেকে এডিপির অর্থায়নে এক লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ঘর তৈরী করে দেয়া হয়। এক সময় কালবৈশাখী ঝড়ে টিনশেড ঘরটি লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এরপর থেকে ৬ বছর ধরে চলছে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান কর্যক্রম।

 

বর্তমানে কর্মরত প্রধান শিক্ষক ফারুক আহাম্মদ জানান, এ স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২৫০ জন এবং কর্মরত শিক্ষক রয়েছেন ৫ জন।

 

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. মোজাক্কির হোসেন বলেন শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকার উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে অথচ স্কুলটির একটি ভবন নাই ভাবতে অবাক লাগে।

 

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান মোহাম্মদ জোনায়েদ বলেন আমি নতুন যোগদান করেছি। স্কুলটির অবস্থা ঝুকিপূর্ন। নতুন ভবন নির্মাণের ব্যাপারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

 

এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2024
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: FT It Hosting