জুবায়ের আহমেদ, বাহুবল থেকেঃ বাহুবলে বিয়ের আসরে কথিত প্রেমিক মামুন মিয়া নামে এক ব্যক্তি প্রকাশ্য বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে, এ নিয়ে বাহুবলের সর্বত্র আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে, সোমবার ৩০ মে বেলা আড়াইটার দিকে বাহুবল মোহনা কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বাহুবল উপজেলার ১নং স্নানঘাট ইউনিয়নের বাগদাইর গ্রামের মোঃ বিলাত মিয়ার মেয়ে ও ৭নং ভাদেশ্বর ইউনিয়নের পূর্ব জয়পুর গ্রামের আব্দুল হারিছ কালা মিয়ার ছেলে মোঃ ফেরদৌস মিয়ার আনুষ্ঠানিক বিয়ের অনুষ্ঠান ছিলো বাহুবল সদর মোহনা কমিউনিটি সেন্টারে।
বেলা ২টার দিকে হঠাত উপজেলার স্নানঘাট ইউনিয়নের উত্তর স্নানঘাট গ্রামের সামছুর রহমানের ছেলে কথিত প্রেমিক মোঃ মামুন মিয়া(২৭) এ অনুষ্ঠানে হাজির হয়।
এসময় কথিত প্রেমিক মামুন মিয়া সকলের সামনে প্রকাশ্য নববধূকে তার ১০ বছরের প্রেমিকা হিসেবে দাবী করে, এমতাবস্থায় কনে ও বর পক্ষের মধ্যে বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, এ ঘটনায় আশপাশের উপস্থিত লোকজনের মাঝে এক কৌতুহল দেখা দেয়।
এ অবস্থায় বেলা আড়াইটার দিকে সকলের উপস্থিতিতে মোহনা কমিউনিটি সেন্টারে প্রকাশ্যে বিষপান করে কথিত প্রেমিক দাবীদার মামুন মিয়া, এসময় আহত অবস্থায় মামুন মিয়াকে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে হবিগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
বিষয়টি নিয়ে বর ও কনে পক্ষের লোকজন বিচার শালিসে বসলে রাত প্রায় ৯ টা পর্যন্ত এ বিচার শালিস চলে, বিচার শালিসে উপস্থিত ছিলেন ৭নং ভাদেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান, ১নং স্নানঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ তোফাজ্জল হক রাহিন সহ এলাকার বিশিষ্ট মুরুব্বিরা।
বিচার শালিসে কথিত প্রেমিক মামুন মিয়ার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান কনে ও বর পক্ষ। এ নিয়ে বাহুবলের সর্বত্র আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে স্নানঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ তোফাজ্জল হক রাহিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,বিষয়টি বিচার শালিসের মাধ্যমে মিমাংসা করে দেয়া হয়েছে, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াকুত মিয়া,ভাদেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান বশির সহ বিশিষ্ট মুরুব্বিরা বর ও কনে পক্ষকে মিলিয়ে দিয়েছেন।