নতুন কুড়িঁ নিউজঃ হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ৫ নং লামাতাসি ইউনিয়নের তগলী গ্রামের নূরজাহান (২৭) নামে দুই সন্তানের জননীকে ভাসুর ও ভাসুর স্ত্রী মারপিট করে মারাত্মক আহত করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১১ মে বুধবার বিকাল ৫টার দিকে। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আহত নূরজাহানকে বাহুবল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, তগলী গ্রামের ছিফত উল্লাহর পুত্র আব্দুল্লাহ পরিবারের মা বাবা ভাই বোনের সাথে বনিবনা না হওয়ায় সে বেশ কয়েক বছর পূর্বেই পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা বসবাস করতে থাকে।
এর পর থেকেই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে বিভিন্ন সময়ে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে দুর্ব্যবহার করতে থাকে। তার এ অত্যাচারে মা বাবা সহ অন্য ভাইয়েরা অতিষ্ট হয়ে পড়ে। বাড়ির গাছপালা সীম সীমানা অতিক্রম করে জোরপূর্বক নিজের বলে চালাতে থাকে। এরই অংশ হিসেবে ছিফত মিয়ার অন্য পুত্র আব্দুল হকের ৭ বছর বয়সী শিশু পুত্র নিজ স্বত্বের একটি আম গাছের আম পড়ে গেলে তা কুড়িয়ে নেয়। এতে আব্দুল্লাহর স্ত্রী ইয়াছমিন তাতে বাধা দিয়ে গালিগালাজ করতে থাকে। এতে আব্দুল হকের স্ত্রী নূরজাহান প্রতিবাদ করা মাত্রই আব্দুল্লাহর স্ত্রী ইয়াছমিন হাতে থাকা বাশের মুগুর দিয়ে নুরজাহানের পীঠে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকে।
এসময়ই নিজ বসতঘর থেকে বেরিয়ে ভাসুর আব্দুল্লাহ নূরজাহানকে হত্যার উদ্দেশ্যে চুলে ধরে মাটিতে ফেলিয়া গলায় পা চাপা দিয়ে রাখে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন নূরজাহান ও তার বাবা ৩নং সাতকাপন ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাদল মিয়া। শোর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে আব্দুল্লাহ ও তার স্ত্রীর কবল থেকে নূরজাহানকে রক্ষা করে বাহুবল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। নূরজাহানের শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক লিলাফোলা জখম রয়েছে।
এসময় তার স্বামী আব্দুল হক বাড়িতে ছিল না। সে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিল। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নূরজাহানের পরিবার থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
উল্লেখ্য, বিগত ২০২০ সালেও আব্দুল্লাহ নূরজাহানকে মারপিট করলে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য সমাজসেবা অফিসে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে আদালতে আব্দুল্লাহ মুচলেকা দিলে আপোসে নিষ্পত্তি হয়।