স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের লোঁগাও গ্রামে প্রতিপক্ষের একতরফা নির্মম হামলায় নিহত তরুণ ব্যবসায়ী জাহান মিয়ার খুনিরা এখনও অধরা। গত ৫ মে সকাল সাড়ে ৯ টায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ৬দিন পর নুরজাহান প্রাইভেট হসপিটালের আইসিওতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে যান তরুণ ব্যবসায়ী মোঃ জাহান মিয়া (২০)৷
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের লোঁগাও গ্রামের কৃষক আব্দুল কাইয়ুমের সাথে একই গ্রামের আব্দুল জব্বার গংদের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল৷ এরই জের ধরে গত ৩০ এপ্রিল বিকাল অনুমান সাড়ে ৫টার দিকে আব্দুল জব্বারের নির্দেশে তার দলবল নিয়ে সশস্ত্র হামলা চালায় আব্দুল কাইয়ুমের ভাই আব্দুল ওয়াহিদের উপর। এসময় পিতাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তার ছেলে মোঃ জাহান মিয়াকে হামলাকারী সিরাজ মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে।
এসময় প্রতিপক্ষের লাঠিয়াল বাহিনীর তান্ডবে আহত হন ৪ জন৷ আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে
জাহান ও তার পিতা আব্দুল ওয়াহিদকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়৷ অপর আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়৷
এদিকে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাহানের অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসক তাকে আইসিওতে স্থানান্তর করার পরামর্শ দেন। পরে তাকে সিলেটের নুরজাহান প্রাইভেট হসপিটালের আইসিওতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ মে মারা যান জাহান মিয়া৷ এদিকে ঘটনার পরপরই ৩ মে নবীগঞ্জ থানায় নিহতের চাচা আব্দুল কাইয়ূম বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন৷
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রথমে আহতের ঘটনায় গত ৩ মে একটি মামলা রুজু হয়। পরবর্তীতে জাহান মারা যাওয়ায় মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে৷ তবে আসামীরা এখনো
পলাতক রয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ ৷