এফ আর হারিছ বাহুবল থেকে” বাহুবলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে এক গৃহবধুর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার স্নানঘাট ইউনিয়নের স্বস্থিপুর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বস্থিপুর গ্রামের ফুল মিয়ার পুত্র কাওছার মিয়া ৪/৫ বছর পূর্বে পুটিজুরী ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামে বিয়ে করেন, কিন্ত বিয়ের পর কোনো সন্তানাধি না হওয়ায় কাওছার মিয়া একটি কন্যা সন্তান দত্ত্বক এনে লালন পালন করে যাচ্ছিল। এমন্তাবস্তায় নিজের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তার স্ত্রী প্রায় ৩ বছর পূর্বে তাকে স্বেচ্ছায় পরিত্যাগ করে চলে যায়। পরে কাওছার গত ২০ অক্টোবর ২০২০ ইং তারিখে স্নানঘাট গ্রামের ফুরুক মিয়ার কন্যা লতিফা আক্তার পবলিকে বিয়ে করে। লতিফা আক্তার পবলীরও আগে একটি বিয়ে হয়েছিল, এবং সেখানে তার ৪/৫ বছর বয়সি একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। কাওছার মিয়ার সাথে পবলীর বিয়ের পর তার দত্ত্বক নেয়া কন্যা সন্তানটি তার স্ত্রী ঠিকমত লালন পালন না করায় প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ দেখা দিত। যা স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ও মুরুব্বিগণ একাধিকবার আপোষ মিমাংশা করেছেন বলে জানা গেছে।
গত বুধবার সকাল ৯ টার দিকে বাড়ির লোকজন কাওছার মিয়ার ঘরের দরজার ফাক দিয়ে খালী ঘরে পবলীকে খাটের উপর ঘরের তীরের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ও পুলিশ প্রশাসনকে জানালে পুটিজুরী তদন্ত কেন্দ্রের এস আই অলি উল্লার নের্তৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পবলীকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামনোর পর মৃত দেখতে পান। তাদের ধারনা, পুলিশ লাশ উদ্ধারের আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
পরে নীহত পবলীর লাশের চুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য ঘটনার সময় পবলীর স্বামী কাওছার স্থানীয় হাওরে ধান কাটাতে ছিল বলে জানা গেছে।
এদিকে নীহত পবলীর বাবার বাড়ীর লোকজনের দাবী, পবলীকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তার লাশ ঘরের তীরের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, সে আত্মহত্যা করেছে বলে বুঝানোর জন্য। এ জন্য তারা মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
নীহত পবলীর ছোট ভাই হাফেজ রকিব আহমেদ জানান, ঈদের দিনও তার বোন হাসিখুশি ছিল, এবং তাদের ঈদের দাওয়াতও দিয়েছে। কিন্ত আজ এ ঘটনার পর তারা আমার বোনের মৃত্যু সংবাদটি আমাদের জানান নাই, আমরা লোকমুখে খরব পেয়ে ছুটে এসেছি।
তবে নীহত পবলীর স্বামীর চাচা আব্দুল কাইয়ুম স্নানঘাট গ্রামের পবলীর চাচা ফারুক মিয়াকে ফোন করে মৃত্যু সংবাদ দিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বাহুবল মডেল থানা পুলিশের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, এটা হত্যা না আত্মহত্যা তা পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট আসার পর বুঝা যাবে, এর আগে এ বিষয়ে কিছুই বলা যাবেনা।