নতুন কুড়িঁ নিউজ” সুতাং নদীর দূষণ নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশের পর পরিবেশ দূষণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদেশ দিয়েছেন হবিগঞ্জ স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
গতকাল সোমবার (১৪ মার্চ) আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসাইন এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ইমদাদুর রহমান।
সোমবার হবিগঞ্জ স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসাইন স্বপ্রণোদিত হয়ে আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বিষয়টি তদন্ত করে নিয়মিত মামলা করার জন্য হবিগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালককে নির্দেশ দেন।
আদেশে বলা হয়” সংবাদ বিশ্লেষণে দেখা যায় যে হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ, সদর ও লাখাই উপজেলাধীন ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ সুতাং স্থানীয় একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। বর্তমানে শিল্পবর্জ্যের বিষাক্ত গ্যাস ও দূষিত পানি প্রবাহিত হয়ে নদীটি মারাত্মকভাবে দূষণের শিকার হয়ে আছে,আর বলা হয় ‘সংবাদে প্রকাশিত অভিযোগ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর ধারা ২(কক), (ককক), (খ), (ঙ) ও (ঠ)-এর সংজ্ঞামতে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ ও বিধি ১৯৯৭ মোতাবেক প্রয়োগযোগ্য। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর ধারা ৬ঙ, ৭, ৮ ও ধারা ১৫-এর টেবিল ৮ মোতাবেক আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অনুসন্ধান বিষয়ে আদালত জানান, প্রকাশিত সংবাদগুলোর বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর, হবিগঞ্জ জেলা কর্তৃক ইতোমধ্যে কোনো মামলা করা হয়নি। সরকার পরিবেশ আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ আদালত আইন-২০১০ প্রণয়নের মাধ্যমে স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রতিষ্ঠা করেছে। এ অবস্থায় জনস্বার্থে ও পরিবেশ সুরক্ষার উদ্দেশ্যে সংবাদে বর্ণিত শায়েস্তাগঞ্জ, সদর ও লাখাই উপজেলাধীন সুতাং নদীর দূষণ ও দূষণের উৎস নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা প্রয়োজন।
শিল্পকারখানার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়ে আদালত বলেন ‘নদীর আশপাশে স্থাপিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ ও বিধিমালা ১৯৯৭ মোতাবেক কোনো আইন লঙ্ঘন হচ্ছে কি না এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে নির্গত বর্জ্য দ্বারা সুতাং নদী দূষিত হচ্ছে কি না, এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে অপরাধ উদঘাটন ও আসামিদের চিহ্নিতকরণ এবং উল্লিখিত ধারায় অপরাধ ছাড়াও অন্য কোনো আইনে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কি না, তা বিস্তারিত তদন্ত করার প্রয়োজনীয়তা প্রতীয়মান হয়।
বলা হয় ‘আদেশে ১৮৯৮-এর ১৯০(১)(সি) ধারায় সংবাদগুলো আমলে নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের পরিদর্শক পদপর্যাদার একজন কর্মকর্তা দিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে বিস্তারিত প্রতিবেদন আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ প্রদান করা হলো। উপপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, হবিগঞ্জকে তদন্তকালে অপরাধ উদঘাটিত হলে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ ও বিধিমালা ১৯৯৭ অনুযায়ী নিয়মিত মামলার নির্দেশ প্রদান করা হলো।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিজানুর রহমান জানান, আদেশের কপি এখনো পাইনি। আদেশের কপি হাতে ফেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।