আজিজুল হক সানু/ হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজির ছবি ক্যামেরা বন্ধি করাতে ছাদিকুর রহমান নামে বাহুবলের এক সাংবাদিককে তুলে নিয়ে নাজেহাল করেছে শায়েস্গাগনজ হাইওয়ে থানার একদল পুলিশ। এদিকে, আহত সাংবাদিক ছাদিকুর রহমান বাহুবল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশের ন্যক্কারজনক ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে নিন্দা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে,ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে শায়েস্গাগনজ হাইওয়ে থানা পুলিশ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন যানবাহন আটকিয়ে চাঁদাবাজী করে চলছে। বৈধ-অবৈধ কাগজপত্র যাচাইয়ের নাম ভাঙিয়ে সিএনজি অটোরিকশা সহ টমটম গাড়ী আটক বাণিজ্য নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মাঠ পর্যায়ে এমন অভিযোগের কথা অহরহ শোনলেও কর্মকর্তারা এসবের দ্বারকাছেও নেই। অনেকেই পুলিশ কর্তৃক আটক গাড়ী ছাড়িয়ে নিতে সহায়-সম্বল বিক্রি ও সুদের ওপর টাকা এনে গাড়ী ছাড়িয়ে নিচ্ছেন।
গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বাহুবলের লোহাখলা থেকে মহাসড়ক পারাপারকালে হাইওয়ে থানার এস আই হাসান, কনস্টবল ফেরদৌস,কবির সহ একদল পুলিশ টমটম গাড়ীটি আটক করে মালিকপক্ষকে ৩ হাজার টাকা দিতে হবে অন্যতায়, চালক সহ গাড়ী থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকির ঘটনায় বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে সংবাদটি যাচাই করতে বাহুবলের সাংবাদিক ছাদিকুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌছে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেন এবং ছবি তোলেন। এতে এস আই হাসানের হুকুমে কনস্টবল ফেরদৌস ও কবির সহ অন্যান্য পুলিশ ওই সাংবাদিককে জোরপূর্বক গাড়ীতে তুলে নিয়ে প্রকাশ্য জনতার সামনে লাটি চার্জ করেন। খবরটি এলাকায় জানাজানি হলে তোপের মুখে পড়ে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
এ খবরে স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন, দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার বাহুবল প্রতিনিধি ও হবিগঞ্জের বাণী পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আজিজুল হক সানু,দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার বাহুবল প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান মাসুম,দৈনিক আমার সংবাদের বাহুবল প্রতিনিধি জুবায়ের আহমেদ, দৈনিক খোয়াইয়ের প্রতিনিধি এফআর হারিছ, সারা বাংলা টুয়েন্টিফোর ডটকমের স্টাফ রিপোর্টার জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, জননীর বাহুবল প্রতিনিধি মুজিবুর রহমান।