নিরুপায় আব্দুল হাই এখন হাত পাচ্ছেন, সরকার ও বিভিন্ন বিত্তশালীদের কাছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের দিকে স্থানীয় সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি। স্থানীয়রা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, আব্দুল হাই একজন দিনমজুর।
সে উত্তর স্নানঘাট গ্রামেই বসবাসকারী। তার ৪ ছেলে সন্তান ও এক মেয়ে রয়েছে। পারিবারিক জীবন কোনরকম চলছিল। এরইমাঝে তার এক পুত্র সুজন (২৯) গত ৭ বছর পুর্বে মানুষিক শক্তি হারিয়ে ফেলে। তার সুস্থতার জন্য কবিরাজি থেকে শুরু করে ডাক্তারি চিকিৎসাও করান। অবস্থার অপরিবর্তিতার কারনে আব্দুল হাই’য়ের স্ত্রী ও মানুষিক রোগে ভোগছেন। স্ত্রী সন্তানের সুস্থতার জন্য সর্বশেষ ভিটেবাড়ি পর্যন্ত বিক্রি করে দিতে হয়েছে তাকে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
বর্তমানে স্নানঘাট গ্রামের অন্যের বাড়িতে মাসে ২ হাজার টাকা বাড়ায় থাকছেন। একদিকে পরিবারে চলছে অভাব-অনটন আরেকদিকে চলছে চিকিৎসা করানোর দুশ্চিন্তা। এমনই প্রতিকূলতার মধ্যে দিনাতিপাত কাটাচ্ছেন আব্দুল হাই। আব্দুল হাই জানান, চিকিৎসা কাজে সরকারি কোনো সহায়তা পাননি। মাঝেমধ্যে বিভিন্নজনের সহায়তা দিয়ে এই পরিবারের দুইজনকে চিকিৎসা করান। এছাড়া চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিজেকে অনেক কাজে যেতে চাইলেও সম্ভব হয়ে ওঠেনি। যে কারণে নিজের দুঃখ কষ্টকে আড়াল করতে না পেরেই স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে সরকার ও বিভিন্ন বিত্তশালীদের সহায়তা চেয়েছেন। এদিকে অসহায় পরিবারের দিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপও কামনা করেন তিনি।