বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি ।। বাহুবলে নির্বাচন পরবর্তী সৌজন্য সাক্ষাৎকালে নবনির্বাচিত মেম্বারকে নাজেহাল ও মামলা দায়েরের ঘটনায় ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। বাহুবলের লামাতাসি ইউনিয়নের হিন্দু অধ্যুষিত ধনিয়াখালি গ্রামের নারী-পূরুষ সহ অধিকাংশ বাসিন্দা বলছেন, প্রকৃত ঘটনা এবং দায়ের করা মামলার বিবরণের সাথে বিস্তর ফারাক রয়েছে।
তবে সেদিন কি ঘটেছিল এর প্রকৃত ঘটনার রহস্য জানতে সরজমিন গেলে ওই গ্রামের নারী-পুরুষ এক বাক্যে বলেন, ৯নং ওয়ার্ডের ষষ্ঠ বারের মত নির্বাচিত মেম্বার আব্দুস সমদ নির্বাচনের পরদিন ভোটারদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে ওই গ্রামে যান। তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানান। এক পর্যায়ে আব্দুস সমদ মেম্বার ওই গ্রামের মৃত ব্রজেন্দ্র গোপের পুত্র ব্রজলাল গোপের বাড়িতে গেলে বাধার মুখে পড়েন।
এসময় ব্রজলাল গোপ, মতিলাল গোপ ও জয়লাল গোপসহ তাদের লোকজন আব্দুস সমদ মেম্বারকে তাদের বাড়িতে যাওয়ার কারণ জানতে চায় এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এমনকি শারিরিকভাবেও নাজেহাল করা হয় তাকে। এতে হতভম্ব হয়ে পড়েন ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুস সামাদ। গ্রামবাসীর বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করে আব্দুস সমদ মেম্বার মোবাইল ফোনে জানান, আমি নির্বাচিত মেম্বার হিসেবে ওয়ার্ডের সকল বাসিন্দাকেই আমার আপনজন বলে মনে করি।
আর সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই আমি সেদিন ধনিয়াখালি যাই। প্রত্যেকের সাথেই কুশল বিনিময় করি। এছাড়া যারা আমি ও আমার লোকজনের উপর মামলা দিয়েছে তারা আমাকে ভোট না দিলেও তারা আমার ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা। তাদেরকে আমি এড়িয়ে চলতে পারিনা। এ দায়বদ্ধতা থেকেই আমি তাদের বাড়িতেও গিয়েছিলাম। পরে শুনেছি ব্রজলাল গোপ আমি ও আমার লোকজনের উপর মামলা দিয়েছেন।
এদিকে উপরোক্ত ঘটনাকে পাশ কাটিয়ে ব্রজলাল গোপ বাদি হয়ে আব্দুস সমদ মেম্বারকে প্রধান আসামি করে মারধোর, জখম, চুরির অভিযোগ এনে ৪ ফেব্রুয়ারী বাহুবল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। উক্ত মামলার এজাহারের মধ্যে ঘটনার তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ২৯/০২/২২ এবং নির্বাচনের তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ৩১/০২/২২। এব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোল্লা রফিকুল ইসলাম বলেন, তারিখটা ভুল হয়েছে। তবে কিছুটা ঝামেলা আছে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।