স্টাফ রিপোর্টার।। বাহুবলে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আজমল চৌধুরীর নির্বাচনী মিছিলে রহস্যজনক ছুরিকাঘাতে নিহত আল আমিন(২৫) এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার বিকেল সাড়ে চারটায় গ্রামের বাড়ি বাহুবল উপজেলার সদর ইউনিয়নের মিঠাপুরে নামাজে জানাজা শেষে হতভাগা এ যুবকের লাশ দাফন করা হয়। উক্ত জানাজার নামাজে চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থী ও রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দসহ সহস্রাধিক মুসল্লী অংশ গ্রহন করেন।
উপজেলার মিঠাপুর গ্রামের দিনমজুর ছায়েদ আলীর পুত্র আল আমিনের নৃশংস এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় বাহুবলের নির্বাচনে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে রাজারপুর বাজারের পাশে কাইতগাও নামক স্থানে সংঘটিত এ হত্যাকান্ডের পর স্থানীয় বাড়ি-ঘর পূরষশূন্য হয়ে পড়েছে । এসব পূরুষ শূন্য বাড়ি-ঘরে নারী ও শিশুরা আছেন উদ্বেগ-উৎকন্ঠায়।
অপরদিকে ঘটনার পর হতে সন্দেহভাজন এনামের বাড়িতে ঝুলছে তালা। ওই বাড়ির নারী-পুরুষ চলে গেছেন আত্মগোপনে।
সরজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, রহস্যঘেরা এ হত্যাকান্ডকে পূজি করে স্থানীয় একটি বিবদমান পক্ষ ফায়দা নিতে শুরু করেছে তৎপরতা। ফলে নিরীহ লোকজনের মাঝে বিরাজ করছে হয়রানির আতঙ্ক।
তবে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ মুরাদ আলী বুধবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক দ্রুত সময়ে আসামীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছেন। এসময় বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রকিবুল ইসলাম খান, এসআই জসিম উদ্দিন, পিবিআই কর্মকর্তা ছাড়াও নিহতের আত্মীয় -স্বজন সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে রাজাপুর বাজারে বাহুবল উপজেলার ৪নং সদর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আজমল হোসেন চৌধুরীর ঘোড়া মার্কার সমর্থনে মিছিল শুরু হয়। এক পর্যায়ে মিছিলে অংশ গ্রহনকারী আল আমিন রহস্যজনকভাবে ছুরিকাহত হয়। এতে গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এঘটনায় বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়ের হয়নি।