জুবায়ের আহমেদ, বাহুবল থেকেঃ বাহুবল উপজেলার ৩নং সাতকাপন ইউনিয়নের ৩১নং করিমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল শহীদ ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি মাধ্যমে ও টাকা আত্মসাৎের অভিযোগ উঠেছে, এব্যাপারে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যুৎসাহী সদস্য মোঃ সেলিম আহমেদ উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি মিলে স্কুল মেরামত সহ বিভিন্ন কাজে কমিটির অন্যান্য সদস্যদের অবগত না করে মনগড়া ভাবে বিল তৈরি করে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে গত কয়েক বছরের স্কুল ফান্ডের প্রায় ৪/৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও গড়মিলের অভিযোগ তুলেছেন মোঃ সেলিম আহমেদ,এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে বিদ্যুৎসাহী সদস্য মোঃ সেলিম আহমেদ গত ২৩-১২-২০২১ইং বাহুবল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি সৈয়দ খলিলুর রহমানের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন,অভিযোগ পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সোমবার ১০ জানুয়ারী সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সরেজমিনে তদন্তে যান,এসময় তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা চেয়ারম্যান বাদী মোঃ সেলিম আহমেদ ও বিবাদী প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল শহীদ ও স্কুল কমিটির সভাপতি মোঃ আতাউর রহমানের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য শুনেন। এ অবস্থায় তদন্তের স্বার্থের কথা বলে কমিটির অন্যান্য সদস্যদের রুম থেকে বের করে দর্জা বন্ধ করে দেয়া হয়। এ নিয়ে বাহিরে অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে, এক পর্যায়ে তাদেরকে ঢেকে আবার ভিতরে আনা হয়।
তদন্তকালে শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান স্কুলের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে কথা না বলে সাবেক ও বর্তমান কমিটির নিয়ে আলোচনা করেন, এসময় তিনি বলেন অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, এ কথা বলেই তিনি বের হয়ে যান,বলে জানা যায়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষা অফিসার রিংকু, স্কুল কমিটির সভাপতি মোঃ আতাউর রহমান, অভিযোগকারী মোঃ সেলিম আহমেদ, দাতা সদস্য মোঃ ফারুক মিয়া,বিদ্যুৎসাহী মহিলা সদস্য মমতা বেগম, সদস্য মোঃ উস্তার মহালদার,সহ সভাপতি নুরুল হক সহ স্থানীয় লোকজন।
এব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান বলেন,বিষয়টি জটিল সময় সল্পতার কারণে তদন্তকাজ আজকের মতো এখানেই শেষ, সমস্ত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।